প্রসেনজিত্ মালাকার: জোট প্রার্থী মিল্টন রশিদকে কোনও রকম সাহায্য নয়। সিদ্ধান্ত নিলেন জেলা কংগ্রেস একাংশের নেতারা। এর ফলে বিপাকে পড়তে পারেন বাম সমর্থিত বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী। সিউড়িতে জেলা ও রাজ্য কংগ্রেসের ৪০ জন নেতা বৈঠক করে এই অঙ্গীকার নেন শনিবার। যার নেতৃত্ব দেয় কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা রাজ্য কংগ্রেসের কার্যকরী সমিতির স্থায়ী আমন্ত্রিত সদস্য সঞ্জয় অধিকারী। তিনি জানান, "আমাদের বৈঠকে জেলার কংগ্রেস নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে যিনি কংগ্রসের প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন তাঁকে আমরা সমর্থন করব না।”


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'অত্যন্ত নিম্নমানের ব্যক্তিগত আক্রমণ', দিলীপ নিয়ে নাড্ডাকে কড়া চিঠি কমিশনের!


বীরভূম কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে প্রথম থেকেই জট দু'দলের মধ্যে। সিপিএমের সূর্যকান্ত মিশ্র জেলায় এসে জানিয়ে যান, "আমাদের চাহিদা ছিল বীরভূম কেন্দ্র। কিন্তু তার আগেই কংগ্রেসের তরফ থেকে তাদের প্রার্থী ঘোষণা করে দিল। এখন আসন সমঝোতার সুত্র হিসাবে আমরা জোট বেঁধে লড়ব।"


স্বভাবতই সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্বের এই মনোভাব কতটা জেলা সিপিএমের নিচু তলার কর্মীরা মেনে নেবে সেটা প্রচারের তীব্রতা বাড়লেই বোঝা যাবে। কিন্তু নিজের দলের প্রমুখ কার্যকর্তারা বেঁকে বসায় বেশ কিছুটা বেগ পেতে হবে মিলটন রশিদকে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।


শনিবার সিউড়িতে জেলা আইএনটিইউসির কার্যালয়ে ৪০ জন বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। যেখানে হাজির ছিলেন জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি মৃণাল বসু, মিলটন রশিদের নিজের গ্রাম মাড়গ্রাম থেকে কংগ্রেসের প্রদেশ কমিটির সদস্য অপূর্ব চৌধুরি, রামপুরহাটের সত্য ভট্টাচার্য্য, বোলপুরের দেবকুমার দত্ত, সাঁইথিয়ার রথীন সেন, সিউড়ির বিবেকানন্দ সাউ সহ জেলার বহু নেতা। খয়রাশোল, রাজনগর, ইলামবাজার, নানুরের ব্লক সভাপতিরা। সেই নিয়েই শুরু হয়েছে জটিলতা। যদিও মিল্টন রসিদ বলেন," বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। ওঁরা আমার বন্ধুর মত। মিটে যাবে।"


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)