Santragachhi Jheel: মিগজাউম কীভাবে সাঁতরাগাছি ঝিলেও ঢেউ তুলল, বেঁধে দিল পাখির ডানা?
Santragachhi Jheel: পক্ষীবিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির পরিবেশ এবার পাখি কম আসার একটা কারণ। তাই হয়তো শুরুর দিকে পাখি কম এসেছে। তবে তাঁরা আশাবাদী, এবারও রেকর্ডসংখ্যক পাখি আসবে!
দেবব্রত ঘোষ: শীত এসে গিয়েছে। কিন্তু সাঁতরাগাছি ঝিলে এখনও সেভাবে আসেনি পরিযায়ী পাখির দল। ঝিলের প্রতি আরও যত্ন নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো এখান থেকে পাকাপাকি মুখ ফেরাতে পারে পরিযায়ী পাখিরা।
আরও পড়ুন: Malbazar: দাঁতালের তাণ্ডব এবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, ক্লাস, মিড ডে মিল-- সবই খোলা আকাশের নীচে...
প্রায় তেত্রিশ বিঘা এলাকা জুড়ে সাঁতরাগাছি ঝিল। সাউথ-ইস্টার্ন রেলের সাঁতরাগাছি স্টেশন-সংলগ্ন এই ঝিল সাঁতরাগাছি ঝিল নামেই পরিচিত। প্রতি শীতে পরিযায়ী পাখি আসার কারণে সাঁতরাগাছি ঝিলকে এখন অনেকে পাখিরালয়ও বলে থাকেন। প্রতি বছর শীত পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে ঝাঁক ঝাঁকে পরিযায়ী পাখিরা ভিড় জমায়। হিমালয়, হিমালয়-সংলগ্ন এলাকা, সুদূর অস্ট্রেলিয়া, উত্তর আমেরিকা, সাইবেরিয়া থেকেও হাজার হাজার মাইল পেরিয়ে পাখিরা আসে এখানে।
এবারেও শীতের শুরুতে পাখিরা আসতে শুরু করেছে এখানে। তবে সংখ্যায় অনেকটাই কম। ঝিলের অপরিষ্কার জল ও ঝিলের পাড়ের আবর্জনাই এর কারণ বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা এক্ষেত্রে হাওড়া পুরসভার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। প্রবীর কর নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা মনে করেন, ঝিলকে রক্ষা করতে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করা উচিত। তা না হলে একদিন মুখ ফিরিয়ে নেবে পরিযায়ী পাখির দল।
হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানান, ঝিলের বাইরের অংশ পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব তাঁদের, যেটা ঠিকমতো পালন করা হয়। তবে ঝিল পরিষ্কার রাখা রেলের দায়িত্ব। তারা নিশ্চয়ই সেটা করে না। তাই এ বিষয়ে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে।
আরও পড়ুন: Jhargram: চিল্কিগড়-ঝাড়খণ্ড সড়ক বেহাল! সমস্যায় পড়ুয়া থেকে রোগী...
পক্ষ বিশেষজ্ঞেরা অবশ্য মনে করছেন, কিছুদিন আগে ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টির পরিবেশ এই পাখি কম আসার উপর একটা প্রভাব ফেলেছে। তাই হয়তো শুরুর দিকে পাখি কম এসেছে। তবে তাঁরা আশাবাদী, এবারও রেকর্ডসংখ্যক পাখি আসবে!