ওয়েব ডেস্ক: পুরো বিল একসঙ্গে মেটাতে না পারাটাই বড় অপরাধ হয়ে যায়। মুমূর্ষু রোগীকে রেফার করেও মাঝপথে ফিরিয়ে আনে নার্সিংহোম। পরে, রোগীকে বড় হাসপাতালে ভর্তি করা গেলেও অনেকটা দেরি হয়ে যায়। শনিবারের সেই ঘটনার ৩ দিন পর আজ মারা গেলেন রোগী। এ মৃত্যুর দায় কার? মুখে কুলুপ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ, এখন ঘটনা ধামা চাপা দিতে ব্যস্ত বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৩১ অগাস্ট চন্দননগরের বুড়ো শিবতলার বাসিন্দা প্রদীপ দেওয়ানজি ভর্তি হন নিউ ইউনাইটেড নার্সিংহোমে। সেপ্টিসেমিয়ায় আক্রান্ত প্রদীপ বাবুর অবস্থার অবনতি হওয়ায় শনিবার তাঁকে চুঁচুড়া সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। রওনাও হয়ে যায় অ্যাম্বুল্যান্স। নিউ ইউনাইটেড নার্সিংহোমে বিল হয় ২৯ হাজার টাকা। রোগীর বাড়ির লোকেদের দাবি, তাঁরা ১৮ হাজার টাকা দেন। জানান, ইমামবড়া হাসপাতালে ভর্তির পর বাকি টাকা দিয়ে দেবেন। পরিবারের এক সদস্য নার্সিংহোমে থেকেও যান।


ধারালো অস্ত্রের কোপে একই পরিবারের ৩ জন ভর্তি হাসপাতালে


অভিযোগ, এরপরই নার্সিংহোম থেকে ফোন যায় অ্যাম্বুল্যান্সে। চুঁচুড়া সদর হাসপাতালের দরজা থেকে ফিরিয়ে আনা হয় রোগীকে। বলা হয়, পুরো টাকা না পেলে প্রদীপবাবুকে ডিসচার্জ করা হবে না। খবর পেয়ে নার্সিংহোমে যায় পুলিস। পুলিসের হস্তক্ষেপে রোগীকে ইমামবড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। সোমবার সকালে সদর হাসপাতালে প্রদীপবাবু মারা যান।


নার্সিংহোমের মুখে কুলুপ। বেসরকারি হাসপাতালের লাগামছাড়া বিল, টাকা না পেলে আটকে রাখা, চিকিত্‍সায় গাফিলতি - এ সব বন্ধে কড়া আইন করেছে রাজ্য সরকার। তবুও, সারছে না রোগ। প্রদীপবাবুর মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারের অভিযোগ, ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। প্রদীপবাবুর মৃত্যুই প্রমাণ করছে, তিনি কতটা অসুস্থ ছিলেন। মুমূর্ষু রোগীর সময়মতো চিকিত্‍সা পাওয়ার ক্ষেত্রে যে নার্সিংহোম বাধা হয়ে দাঁড়াল, এখন তাদের শাস্তি চাইছে মৃতের পরিবার।


দুধের আকালে পুষ্টি থেকে বঞ্চিত পাহাড়ের শিশুরা