মনোজ মণ্ডল: খাটের তলা থেকে উদ্ধার হল নার্সিং পড়ুয়ার রক্তাক্ত মৃতদেহ। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে। কীভাবে এমন মৃত্যু তা নিয়ে রহস্য ঘনাচ্ছে। মৃত ওই পড়ুয়ার নাম উদ্ধব সরকার। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। রবিবার তার রুম মেট বিক্রম সরকার ঘরে তালা দিয়ে বেরিয়ে যায়। তাকে দেখে সন্দেহ হল বাড়ির মালিক সুধাংশু সমাদ্দারের। তাঁর বাড়িতেই ভাড়া থাকত উদ্ভব-বিক্রম সহ মোট ৪ নার্সিং পড়ুয়া। বিক্রম ও উদ্ভব একই ঘরে ছিল। বিক্রমের বাড়িও গঙ্গারামপুরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-'বুধবার আমাদের ফাইনাল'! ইন্দ্রজাল বিস্তার করে হুঙ্কার জাদুকর লিওর


বাড়ি মালিক সুধাংশু সমাদ্দার তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় খাটের তলায় পড়ে রয়েছে উদ্ধবের মৃতদেহ। এনিয়ে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে পাড়ায়। খবর যায় অশোকনগর থানায়। পুলিস এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেল উদ্ধবকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটানাটি খুন না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।


অশোকনগর রাজ্য সাধারণ হাসপাতালের নার্সিংয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল উদ্ধব। গত ৬ মাস ধরে উদ্ধব ও বিক্রম অশোকনগরে ভাড়া ছিল। আজ সকালে যখন বিক্রম বাড়ি থেকে তালা দিয়ে বেরিয়ে যায় সেইসময় তাকে বাড়ি মালিক জিজ্ঞাসা করলে বলে সে বাড়ি যাচ্ছে। তার কথায় সন্দেহ হয় বাড়ি মালিকের। এরপরই তিনি ঘর খুলে দেখে উদ্ধবের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। 


ওই একই নার্সিং কলেজের পড়ুয়া অশোক সিং বলেন, ওই ঘরে মোট ৪ জন থাকতো। তার মধ্যে ২ জন আগেই বাড়ি চলে গিয়েছে। দুজন ছিল। কাল রাত নটা নাগাদ ওদের দেখা গিয়েছিল। বিক্রমকে সকালের পর আর দেখা যায়নি।


বাড়িমালিক সুধাংশু সমাদ্দার বলেন, আজ সকালে জমিতে জল দিতে যাব বলে বের হচ্ছিলাম। দেখলাম বিক্রম ঘরে তালা দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। ওকে জিজ্ঞাসা করলাম, বাড়ি যাচ্ছো? ও বলল, দাদার বিয়ে ৩ তারিখে। মা তো তোমাকে নিমন্ত্রণ করেছিল। তুমি কি যাবে? আমি বললাম, আমার তো দোকান চালাতে হয়। কোথাও যেতে সময় পাই না। ও বলল ৫-৬ ডিসেম্বর ফিরে আসব। ও বেরিয়ে গিয়েও রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। তাতেই আমার সন্দেহ হয়। জানালা গিয়ে উঁকি দিয়ে দেখি মেঝেতে পড়ে রয়েছে উদ্ধবের দেহ। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)