নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় ৪ মাস পর খুলে গেল ওদলাবাড়ির সাপ্তাহিক হাট। এটাই ডুয়ার্সের সব থেকে বড় সাপ্তাহিক হাট। করোনা আতঙ্কের কারনে কখনো সরকারি ভাবে এবং কখনো গ্রাম পঞ্চায়েত উদ্যোগে বন্ধ ছিল এই হাট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গতকালও করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৮৭ জন, আলিপুরদুয়ারে ৩৩ জন, কোচবিহারের ১০ জন, দার্জিলিংয়ে ১৪ জন। এরকম এক পরিস্থিতিতে হাট খোলাকে ভালো সিদ্ধান্ত বলে মানছেন না অনেকেই।


আরও পড়ুন-বিপাকে ইমরান সরকার, পাকিস্তানকে ঋণ হিসেবে জ্বালানি তেল দেওয়া বন্ধ করল সৌদি আরব 


এত দিনের এই সাপ্তাহিক হাট বন্ধের ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রামনের মাত্রা কমানো সম্ভব হয়েছে। কারন এই হাটে পাহাড়, সমতল এমন কি অন্য জেলা থেকেও ব্যাবসায়ী এবং ক্রেতারা আসেন।  আর এতেই সংক্রমন আরো বেশি মাত্রায় ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারনে হাট বন্ধ হওয়াতে খুশি ছিলেন সবাই।


এদিকে সমস্যা হল, এত দিন হাট বন্ধ থাকায় বহু ব্যবসায়ীর অবস্থা খুব খারাপ। বর্তমানে অনেক ব্যবসায়ীর সংসার চালানোই সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই রবিবার আবার ওদলাবাড়িতে হাট চালু হওয়ায় খুশি ব্যাবসায়ীরা। 


ঔষধ ব্যবসায়ী মানষ মুখোপাধ্যায় বলেন, রবিবার হাট খুলে যাওয়ায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উপকার হয়েছে। কারন এই হাটের ওপর বহু ব্যাবসায়ীদের সংসার চলছে। তাই হাট খুলে যাওয়া ভাল হয়েছে কিন্তু হাটে কোন কিছু মানা হচ্ছে না। মাস্ক ছাড়াই ইচ্ছে মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষজন। 


মাছ ব্যাবসায়ী  সেকেন্দার শা, কিরন বর্মন, সব্জি বিক্রেতা ব্রিজেস প্রসাদদের বক্তব্য এত দিন হাট বন্ধ থাকায় আর্থিক কষ্টে দিন কাটছিল। কারন আমরা সপ্তাহে এক দিনই হাট করি। আর সেই হাট করেই সংসার চলে। তবে এদিন থেকে হাট চালু হয়ে যাওয়া খুশি আমরা।


আরও পড়ুন-যুদ্ধক্ষেত্রে বহু করোনা রোগীকে বাঁচিয়ে 'শহিদ' ডাক্তার আসরাফ মীর


তবে ক্রেতা দের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে, কেউ কেউ বলছে এখনি হাট খুলে দেওয়া ঠিক হয়নি। হাট খুলে যাওয়ায় বহু মানুষের ভিড় হচ্ছে। কেউ মাস্ক পরছে না। সামাজিক দুরত্ব মানছে না। যখন প্রতিদিন মাল ব্লকে করোনা সংক্রমণ হুহু করে বাড়ছে, তখন এই ভাবে হাট খুলে দেওয়ায় সংক্রামণ আরও বাড়বে। 


এব্যাপারে ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃণমূলের মাল ব্লক সভাপতি তমাল ঘোষ বলেন, আমরা দুদিন আগে সমস্ত ব্যাবসায়ী,  হাট কমিটি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলে, ব্যবসায়ীদের সুবিধার্তে  রবিবারের সাপ্তাহিক হাট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।  সেই জন্য এদিন হাট ঘুরে দেখি আমরা।  হাটে মানুষের ভিড় ভালোই হয়েছিল। মানুষ সামাজিক দুরত্ব মানছে না। মাস্ক পরছে না। এই ভাবে হাট হলে আগামিতে হাট বন্ধ করে দেওয়া হবে।