দেবব্রত ঘোষ: সাঁকরাইলের রাজগঞ্জের দুর্গাপুজো হাওড়ার অন্যতম বিখ্যাত বনেদি পুজো। এ বাড়ির প্রাণপুরুষ চূড়ামণি পাল হাওড়ার আন্দুলের রাজবাড়ির দেওয়ান ছিলেন। তাঁর কর্মনিষ্ঠায় খুশি হয়ে রাজগঞ্জ সংলগ্ন তিনটি গ্রাম তাঁকে উপহার দিয়েছিলেন আন্দুলের রাজা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: তিনশোর দিকে পা সুরুল জমিদারবাড়ির! রবীন্দ্রনাথও সামিল হতেন এই পুজোয়?


চূড়ামণি পালের আমলে গঙ্গা তীরবর্তী রাজগঞ্জের পুরনো বাড়িটি নদীতে তলিয়ে যায়। এরপর গঙ্গার অনতিদূরে সুবিশাল এক বাড়ি তৈরি করান চূড়ামণি। সেটা প্রায় ২০০ বছর আগেকরা ঘটনা। এই বাড়িতেই দুর্গাপুজো শুরু হয়। প্রথমে সেই বাড়ির মন্দিরে ঘটপুজো হত। তারপর ঠাকুরদালান তৈরি হয়। এবং সেখানে শুরু হয় দুর্গাপুজো। 


চূড়ামণির দুই ছেলে-- নফরচন্দ্র পাল ও সারদা পাল দেওয়ানি করেননি। সারদা চিকিৎসক ছিলেন, নফরচন্দ্র ইঞ্জিনিয়ার হয়ে প্রথমে চাকরি করেন ও পরে ব্যবসা। নফরচন্দ্র ইটভাটা তৈরি করে ইটের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। রেলের বিভিন্ন নির্মাণকাজে ইট সরবরাহ করতেন তিনি। আর সেই সময় থেকেই পাল পরিবারের ধনসম্পদ ও প্রভাব-প্রতিপত্তি বাড়তে থাকে। ফলে এই পরিবারের দুর্গাপুজোও আরও জমজমাট হয়।


পুরনো ঐতিহ্য বজায় রেখেই আজও এই পুজোটি করে আসছেন এই বাড়ির বর্তমান সদস্যরা। পালবাড়ির পুজো হয় বৈষ্ণব মতে। জন্মাষ্টমীতে কাঠামো পুজো করে প্রতিমা তৈরি শুরু হয় ঠাকুরদালানে। এবাড়িতে অষ্টমীতে সিঁদুর খেলার রেওয়াজ। সেদিন বিশেষ ভোগও রান্না হয়। পুজোপাঠ ও ভোগ রান্না-- মহিলারাই সব সামাল দেন এখানে। নবমীতে হয় কুমারী পুজো হয়। দশমীর দিন প্রতিমা কাঁধে করে নিয়ে গিয়ে গঙ্গায় নিরঞ্জন করা হয়।


আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: সপ্তমীতেই নরবলি! ৫১৪ বছরের রক্ত-রহস্যময় পুজো আজও ভয় জাগায়...


পুজোর ক'দিন শুধুমাত্র নিজেরাই আনন্দে মেতে ওঠেন না এই পরিবারের সদস্যরা। আশেপাশের গ্রামের মানুষজনকে নিয়ে, দুঃস্থদের সঙ্গে নিয়ে আনন্দে সামিল হন তাঁরা।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)