প্রসেনজিত্ সরদার: ঘটনা সেই একাকী বৃদ্ধ-বৃদ্ধার। সন্তানরা সঙ্গে থাকে না। বাবা-মা কখন মারা গিয়ছেন জানতেই পারল না ছেলে। অবশেষে ঘরের দরজা ভেঙে উদ্ধার হল মৃত বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার মৃতদেহ। এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে ক্যানিং থানার ১ নম্বর দিঘিরপাড় এলাকায়। মৃত দুই বৃদ্ধ-বৃদ্ধার নাম রঞ্জিত ব্যানার্জি(৮৪) ও কবিতা ব্যানার্জি(৭৬)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ভোট বড় বালাই, লোকসভা ভোটের মধ্যে নিষ্ক্রিয় কর্মীদের দলে ফেরাল তৃণমূল


প্রতিবেশীদের দাবি, দম্পতির ২ ছেলে কাজের সূত্রে বাইরে থাকেন। বড়ছেলে থাকে বারাসাতে। দুদিন ধরে বাবা-মার ফোন সুইচড অফ পেয়ে ক্যানিয়েংয়ে চলে আসেন। গতকাল রাতে এসে বাবা-মাকে ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়া শব্দ পাননি বড়ছেলে। পাশেই তাঁর পিসির বাড়ি। সেখানেই গতরাতটা কাটিয়ে দেন চিরঞ্জিত ব্য়ানার্জি।


এনিয়ে চিরঞ্জিত ব্যানার্জি বলেন, বাব-মা দুজনেই কানে কম শোনেন। বাড়ির দোতলায় থাকেন তাঁরা। তাই ভেবেছিলাম হয়তো বাবা-মা শুনতে পাননি। দোতলায় থাকেন তাই শুনতে পাচ্ছেন না। তাই দরজা খুলছেন না। তাি ওই রাতে চলে যাই। ভেবেছিলাম সকালে বাবা-মা ব্রেকফাস্ট করতে উঠলে বাবা-মা সঙ্গে দেখা করব। এমনটা ভেবেই পিসির বাড়িতে রাত কাটিয়ে দিই।


এদিকে, আজ সকালে বারবার ডাকাডাকি করলেও রঞ্জিতবাবু ও কবিতা দেবীর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এরপরই দরজা ভেঙে ফেলেন প্রতিবেশীরা। তারপর সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় বারান্জায় পড়ে রয়েছেন কবিতা দেবী। অন্যদিকে, রঞ্জিতবাবুর মৃতদেহ পড়ে রয়েছে খাটের উপরে। এরপরই খবর দেওয়া হয় ক্য়ানিং থানায়। সেখান থেকে পুলিস এসে মৃতদেহদুটি তুলে নিয়ে যায়। ঠিক কী কারণে মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)