নিজস্ব প্রতিবেদন : চলন্ত লঞ্চ থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হল স্বামী। স্বামীর সঙ্গে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন স্ত্রী-ও। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন স্ত্রী। আজ সকাল দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে আহিরীটোলা ঘাটের কাছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, হাউসবোটে প্রমোদভ্রমণ এবার চুটিয়ে উপভোগ করুন গঙ্গাতেও


জানা গিয়েছে, এদিন সকাল পৌনে ১০টা নাগাদ হাওড়া থেকে বাগবাজারগামী লঞ্চে ওঠেন তাপস দত্ত ও তাঁর স্ত্রী শুক্লা দত্ত। মিনিট দশেকের মধ্যেই লঞ্চ যখন আহিরীটোলা ঘাটের কাছে, তখন লঞ্চ থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন  তাপসবাবু। তাঁর সঙ্গেই গঙ্গায় ঝাঁপ দেন তাঁর স্ত্রী শুক্লা দত্ত-ও। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁদের উদ্ধারে গঙ্গায় ঝাঁপ দেন লঞ্চকর্মীরা। তাপসবাবু ও তাঁর স্ত্রী শুক্লাদেবীকে উদ্ধারও করেন তাঁরা। কিন্তু তাপসবাবুর মৃত্যু হয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। হাওড়া জেলা হাসপাতালে চিকিত্সাধীন রয়েছেন স্ত্রী শুক্লা দত্ত। তাঁর বয়স ৬২ বছর।


আরও পড়ুন, শিবরাত্রির দিন বাংলার প্রতি গ্রামে মহা জলাভিষেক করতে চলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ


পুলিসকে তিনি জানিয়েছেন, অভাব অনটনেরক জেরেই আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। গত দেড় বছর ধরে নিদারুণ  অভাব অনটনের মধ্যে দিন কাটছিল তাঁদের। পুলিসের কাছে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁদের উপর অত্যাচার করত বৌমা। এই নিয়ে সংসারে নিত্য অশান্তি লেগেই ছিল। এমনকি তাপসবাবুর সব টাকাও হাতিয়ে নিয়েছিল বৌমা।


আরও পড়ুন, ক্লাবঘরে আটকে হেনস্থা বান্ধবীদের! বন্ধু যুবককে পিটিয়ে বিষ খাইয়ে খুন


এরপরই তিন দিন আগে বাড়ি থেকে চলে আসেন তাঁরা। হাওড়া স্টেশন লাগোয়া একটি লজে এসে ওঠেন স্বামী-স্ত্রী। কিন্তু সঙ্গে কোনও টাকা ছিল না তাঁদের। ফলে লজের ভাড়া দিতে পারেননি। টাকা দিতে না পারায় তখন তাঁদের লজ থেকেও বের করে দেওয়া হয়। চূড়ান্ত অপমান, অবসাদে তখন তাঁরা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন।