ক্লাবঘরে আটকে হেনস্থা বান্ধবীদের! বন্ধু যুবককে পিটিয়ে বিষ খাইয়ে খুন

জোর করে অরুণের দুই বান্ধবীকে আটকে রাখা হয় স্থানীয় ক্লাবঘরে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন অরুণ।

Updated By: Feb 21, 2019, 11:45 AM IST
ক্লাবঘরে আটকে হেনস্থা বান্ধবীদের! বন্ধু যুবককে পিটিয়ে বিষ খাইয়ে খুন

নিজস্ব প্রতিবেদন : বান্ধবীদের হেনস্থা করছিল স্থানীয় ক্লাবের  কয়েকজন সদস্য। প্রতিবাদ করেছিলেন যুবক। আর তার জেরে  প্রতিবাদী ওই যুবককে পিটিয়ে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্থানীয় ক্লাব সদস্যেদের বিরুদ্ধে। মৃতের নাম অরুণ বিশ্বাস। বয়স ২৮ বছর।  ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে।

আরও পড়ুন, ঘোলা অগ্নিকাণ্ড : ৫ শ্রমিক জীবন্ত দগ্ধ, ভিন রাজ্য থেকে গ্রেফতার অভিযুক্ত কারখানা মালিক

জানা গিয়েছে, মৃত যুবক বারুইপুরের কল্যাণপুর ত্রিপুরানগর এলাকার বাসিন্দা। ১৪ ফেব্রুয়ারি অরুণের দুই বান্ধবী তাঁর বাড়িতে এসেছিল। সেইসময় বাড়িতে ছিলেন না অরুণ। অভিযোগ, তখনই জোর করে অরুণের দুই বান্ধবীকে আটকে রাখা হয় স্থানীয় ক্লাবঘরে। খবর পেয়ে ছুটে আসেন অরুণ। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান তিনি।

আরও পড়ুন, সকালে কন্যাসন্তানের জন্ম, দুপুরে মায়ের মৃত্যু, ধুন্ধুমার বাঘাযতীনে

অভিযোগ, এরপরই অরুণ বিশ্বাস নামে ওই যুবককে বিদ্যুতের  খুঁটির সঙ্গে দড়ি দিয়ে বাঁধে খেয়ালি সংঘ নামে ওই ক্লাবের কয়েকজন সদস্য। বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে তাঁকে বেঁধে শুরু হয় বেধড়ক মার। শুধু মারধর করা-ই নয়, অভিযোগ ওই যুবককে বিষও খাওয়ানো হয়। এমনকি অরুণের পরিবারের লোকেদেরও বিষ খাইয়ে খুনের হুমকি দেয় অভিযুক্ত ক্লাব সদস্যরা।

আরও পড়ুন, ছেলেধরা গুজবে রণক্ষেত্র টিকিয়াপাড়া, জনতা-পুলিস 'খণ্ডযুদ্ধ'

মারধর ও বিষক্রিয়ার চোটে গুরুতর অসুস্থ অরুণ বিশ্বাসকে এরপর ১৪ তারিখ রাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার রাতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ওই প্রতিবাদী যুবক। এই ঘটনায় খেয়ালি সংঘ ক্লাবের সদস্য পাপ্পু বিশ্বাস, দীপু বিশ্বাস সহ আরও  কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে মৃতের পরিবার।

আরও পড়ুন,ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোয় ন্যূনতম ভাড়া কত? জেনে নিন দূরত্ব অনুযায়ী ফেয়ার-চার্ট

বুধবার রাতেই এই ঘটনায় বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ক্লাবের মধ্যে অসামাজিক কাজকর্ম চলে। সন্ধ্যা নামলেই শুরু হয় বহিরাগতদের আনাগোনা। রাত হলেই মদ, জুয়া, সাট্টার আসর বসে। ভয়ে মেয়েরা বাড়ির বাইরে বেরতে পারে না। উত্যক্ত করা হয় এলাকায় যুবতী-মহিলাদের।

.