ইটাহারে তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার ১
২০১৮ সালে একটি শিশুনির্যাতনের ঘটনায় কারারুদ্ধ ছিল অভিযুক্ত সুকুমার। ওই মামলায় অন্যতম সাক্ষী ছিলেন বিকাশবাবু। গত মার্চে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে মুক্ত হয় সে। এর পর সে বিকাশবাবুকে খুনের হুমকি দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। যে জায়গায় বিকাশবাবু খুন হয়েছিলেন তার কাছেই পাইকপাড়ায় বাড়ি সুকুমারের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ইটাহারে তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার ১ যুবক। ধৃত সুকুমার দাস পেশায় গাড়ি চালক বলে জানা গিয়েছে। ধৃতকে রায়গঞ্জ আদালতে পেশ করেছে পুলিস।
গত শুক্রবার রাতে থানা থেকে ফেরার পথে আততায়ীর গুলিতে খুন হন ইটাহারের তৃণমূল নেতা বিকাশ ও মাধু মজুমদার। তাঁকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তোলে তৃণমূল। তবে এদিন গ্রেফতারিতে স্পষ্ট হল ঘটনায় রাজনৈতিক যোগ নেই।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে একটি শিশুনির্যাতনের ঘটনায় কারারুদ্ধ ছিল অভিযুক্ত সুকুমার। ওই মামলায় অন্যতম সাক্ষী ছিলেন বিকাশবাবু। গত মার্চে হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়ে মুক্ত হয় সে। এর পর সে বিকাশবাবুকে খুনের হুমকি দিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। যে জায়গায় বিকাশবাবু খুন হয়েছিলেন তার কাছেই পাইকপাড়ায় বাড়ি সুকুমারের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মা-মেয়ের সুপার ইম্পোজ করা ছবি ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার যুবক
এসব থেকে পুলিসের সন্দেহের তালিকায় পয়লা নম্বরে ছিল সুকুমার। শনিবার রাতে পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তবে জেরায় কী উঠে এসেছে তা জানা যায়নি। অভিযুক্তকে ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে চাইতে পারে পুলিস।
তবে পুলিসের তত্ত্বকে খারিজ করে দিচ্ছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে সুকুমারকে।
গত শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ ইটাহারে খুন হন তৃণমূল নেতা বিকাশ। গোটা এলাকায় তখন লোডশেডিং চলছিল। রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বিকাশবাবু। তখনই একটি সাদা গাড়ি থেকে গুলি চালানো হয় বলে দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। স্থানীয়রাই বিকাশবাবুকে উদ্ধার করে ইটাহার প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় রায়গঞ্জ সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।