নিজস্ব প্রতিবেদন: মাঝে দু'দিনের ব্যবধান। এর মধ্যেই কুসংস্কারের বলি আরও এক যুবক। অভিযোগ, সাপে কাটা এক ব্যক্তিকে ডাক্তারের কাছে না নিয়ে গিয়ে, দীর্ঘক্ষন ফেলে রাখা হল ওঝার কাছে। ওষুধ দেওয়ার বদলে চলে ঝাড়ফুঁক। অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হল ওই যুবকের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মৃত যুবকের নাম রিয়াজুল ইসলাম, বয়স ৩২। বাড়ি দেগঙ্গার কুমরুলি গ্রাম। জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় স্ত্রী ও বাচ্চাদের সঙ্গে ঘরে শুয়ে ছিলেন তিনি। হঠাৎ একটি বিষধর সাপ তাঁর হাতে কামড় দেয়। এরপরই শুরু হয় আসল ঘটনা। অভিযোগ, ডাক্তারের কাছে না নিয়ে গিয়ে পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি এক ওঝার কাছে নিয়ে যায় রিয়াজুলকে। সেই ওঝার কাছেই চলে ঝাড়ফুঁক। এরপর তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হয়। তখন পরিজনদের টনক নড়ে। রিয়াজুলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন তাঁরা। তবে ততক্ষণে সবকিছু শেষ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই যুবকের মৃত্যু হয় ওই যুবকের। 


আরও পড়ুন: রথযাত্রায় 'বাদ' রথ! ট্রাকে করেই মাসীর বাড়ি যাবেন মদনমোহন


আরও পড়ুন: থমকে আড়াইশো বছরের পুরনো রথের চাকা, কোভিডবিধি মেনেই মাঙ্গলিক আচার


তবে এই প্রথম নয়, অভিযোগ শুক্রবারও দেগঙ্গা একই ভাবে আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁকেও সাপেই কেটেছিল এবং তাঁকেও ডাক্তারের কাছে না নিয়ে গিয়ে ওঝার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ঝাড়ফুঁকের পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। ঘটনার পর থেকেই পলাতক দুই ওঝা। দু'দিনের ব্যবধানে একই কারণে দুই তরতাজা প্রাণ চলে যাওয়ায়, গ্রামের একাংশের মধ্যেও তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। দোষী দুই ওঝার শাস্তির দাবিতে সরব তাঁরা। বিষয়টি জেনে সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বারাসত পুলিস জেলার সুপার সুমিত গুপ্তা। তিনি জানান, দোষ প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেভাবে এলাকায় কুসংস্কারের জাল বিস্তার করছে তাতে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রশাসনের কপালে। এলাকায় সচেতনতা প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন বেড়াচাঁপা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নওশাদ-উদ-জামান।