থমকে আড়াইশো বছরের পুরনো রথের চাকা, কোভিডবিধি মেনেই মাঙ্গলিক আচার
রাজা আনন্দলাল উপাধ্যায়ের সহধর্মিণী ধর্মপ্রাণ রানি জানকীদেবী মহিষাদলের রথের সূচনা করেছিলেন।
![থমকে আড়াইশো বছরের পুরনো রথের চাকা, কোভিডবিধি মেনেই মাঙ্গলিক আচার থমকে আড়াইশো বছরের পুরনো রথের চাকা, কোভিডবিধি মেনেই মাঙ্গলিক আচার](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2021/07/11/332240-mahisha.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত বছরের পুনরাবৃত্তি না হয়ে এবার হয়তো প্রভু জগন্নাথদেব রথে চড়ে মাসির বাড়ি যাবেন এমনই ভেবেছিলেন অনেকে। হাজার হাজার ভক্ত রথের রশিতে টান দিয়ে প্রভুকে নিয়ে যাবেন মাসিরবাড়ি গুন্ডিচাবাটিতে। আবার এক সপ্তাহ পর ভক্তদের রশির টানেই তিনি ফিরবেন।
কিন্তু নাহ! এ বছরও আর রথে চড়ে মাসির বাড়ি যাওয়া হবে না জগন্নাথদেবের। ভিলেন সেই করোনা। যেভাবে করোনার (corona) থাবা ক্রমশ ভয়াল হয়েছে, বিপর্যস্ত হয়েছে মানুষের স্বাভাবিক জনজীবন, তাতে গত বছরের মতো এ বছরও পূর্ব মেদিনীপুরের ২৪৫ বছরের প্রাচীন মহিষাদলের রথযাত্রা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তই নিতে হয়েছে। আজ, রবিবার রথের আগেরদিন তাই মন খারাপ রথপ্রেমী এলাকাবাসীর।
আরও পডুন: জরুরি সাংগঠনিক বৈঠকে অনুপস্থিত ৩ বিধায়ক, রাজ্য BJP-তে জোর গুঞ্জন
মহিষাদলের ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়, রাজা আনন্দলাল উপাধ্যায়ের সহধর্মিণী ধর্মপ্রাণ রানি জানকীদেবীই এই রথের সূচনা করেছিলেন। প্রথমে রথ ছিল সতেরো চূড়ার। কিন্তু আজ তা ঠেকেছে তেরো চূড়ায়। এই রথের অন্যতম ব্যতিক্রমী বিষয় হল-- এখানকার রথে জগন্নাথ দেবের সঙ্গে যান রাজবাড়ির কুলদেবতা শ্রীমদনগোপাল জিউ।
প্রতি বছর এই রথ টানতে হাজার হাজার দর্শনার্থী ভিড় জমান। ভিড় জমে রথের মেলাতেও। মহিষাদলের (Mahishadal) রথতলা ও ছোলাবাড়ি প্রাঙ্গণে কয়েকশো দোকান নিয়ে গমগম করত প্রায় একমাসের রথের মেলা। কাঁঠালপট্টির কাঁঠালের গন্ধে মম করত গোটা এলাকা। কিন্তু এবারে সব কিছুই কেমন ফিকে হয়ে এসেছে।
রথের চাকা গড়াবে না, তবে রাজবাড়ির পালকি চড়ে প্রভু যাবেন তাঁর মাসির বাড়ি। মানা হবে সমস্ত প্রাচীন রীতিনীতিই। রবিবার বিকেলে অন্যান্য বছরের মতোই রথে চড়ানো হয় রাজবাড়ির কলস। চলে পুজোপাঠ। তবুও রথ টানা না হওয়ায় মন খারাপ ভক্তদের।
রাজবাড়ি সূত্রে জানা গিয়েছে, সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে রথ টানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে রাজবাড়ির পালকি চড়েই জগন্নাথদেব যাবেন মাসিরবাড়ি। যেখানেও মেনে চলা হবে সামাজিক দূরত্ব। এবং কোভিডবিধি মেনেই পালিত হবে যাবতীয় মাঙ্গলিক আচার।
এদিন রাজবাড়ির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন শংকপ্রসাদ গর্গ, হরপ্রসাদ গর্গ, শৌর্য্যপ্রসাদ গর্গ। ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রথ পরিচালন কমিটির সম্পাদক তিলক চক্রবর্তী প্রমুখ।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)
আরও পডুন: শুভেন্দুকে সরিয়ে তাম্রলিপ্ত জনকল্যাণ সমিতির নতুন সভাপতি সেচমন্ত্রী সৌমেন