নিজস্ব প্রতিবেদন:  ফের রাজ্যে গণপিটুনির বলি ১। চোর সন্দেহে আসানসোলে এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। ঘটনায় পুলিসের ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



বুধবার সকালে আসানসোলের সালানপুরের বেঞ্জামারি এলাকায় তিন যুবককে ইতঃস্তত ঘুরে বেড়াতে দেখেন স্থানীয়রা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, কথায় অসঙ্গতিও পান তাঁরা। এরপরই চোর সন্দেহে ওই তিন জনকে তাড়া করেন এলাকাবাসী। দুজন পালিয়ে গেলেও একজনকে ধরে ফেলেন তাঁরা। শুরু হয় উত্তম মধ্যম।


রাস্তায় ফেলে ওই যুবকে লাঠি, বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। চলতে বেপরোয়া কিল, ঘুষি, লাথিও। রাস্তাতেই লুটিয়ে পড়ে ওই যুবক। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিস। কার্যত পুলিসের সামনেই চলতে থাকে মারধর। পরে   পুলিস ওই যুবককে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। আসানসোলে এই নিয়ে গত সাত দিনে চারটি গণপিটুনির ঘটনা ঘটেছে।


গোপনাঙ্গে ছুরি ঠেকিয়ে পুরোহিতের স্ত্রীকে লাগাতার ধর্ষণ খেজুরিতে, মহরম বলে অভিযোগ নিতে অস্বীকার পুলিসের


এপ্রসঙ্গে আসানসোলের পুলিস কমিশনার দেবেন্দ্রপ্রতাপ সিং বলেন, “আমাদের কাছে যা তথ্য আছে, মোবাইলে যা ছবি এসেছে, তা দেখে দ্রুতই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে পারব। এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য মাইকিং করে প্রচার করা হচ্ছে।”


অন্যদিকে, দিনহাটাতেও মঙ্গলবার রাতে   ছেলেধরা   সন্দেহে মানসিক ভারসাম্যহীন এক যুবককে গণপিটুনির অভিযোগ ওঠে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। রাজ্যে গণপিটুনির ঘটনা রুখতে কড়া প্রশাসন। গণপিটুনি রুখতে বিধানসভায় বিল পাশ করিয়েছে মমতা সরকার। শান্তি মৃত্যুদণ্ড! তবুও এই ঘটনা রোখা সম্ভব হচ্ছে না। প্রশ্নের মুখে প্রশাসন।