নিজস্ব প্রতিবেদন:  উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে  ধর্ষণে বাধা পেয়ে নাবালিকার দাদুকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতের নাম আলি শাহ। এদিকে, এই ঘটনায় আহত আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিত্সারত অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।  ওই শিশু নাবালিকার দাদুর দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সন্তান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রায়গঞ্জের করণদিঘি  ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী দাদু, দিদিমা ও ভাইয়ের সঙ্গেই থাকে।  স্থানীয় যুবক আলি শাহ ওই নাবালিকাকে উত্ত্যক্ত করত বলে অভিযোগ। স্কুল, টিউশন পড়তে যাওয়ার পথে মাঝমধ্যে ছাত্রীর পিছু নিত আলি। বিষয়টি বাড়িতেও জানায় ছাত্রীটি। তার দাদু কয়েকবার আলিকে সাবধানও করেন। ইদানীং পরিস্থিতি কিছুটা সামলে গিয়েছিল। ছাত্রীর দাদু ভেবেছিলেন, আলি শুধরে গিয়েছে। কিন্তু পরিণতি যে এতটা ভয়ঙ্কর হতে চলেছে, তা ভাবতে পারেননি কেউই।


আরও পড়ুন:  পাত্রী দেখতে গিয়ে তাঁর বাড়িতে বারাকপুরের পাত্র যা ঘটালেন, তা এই রাজ্যে কেন দেশে কোথাও আগে ঘটেনি!


মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের ঘরেই পড়ছিল ছাত্রীটি। আলি কোনওভাবে তার ঘরে ঢুকে পড়ে। অভিযোগ, ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। কিন্তু চিত্কার করায় পকেট থেকে ছুরি বার করে নাবালিকার গলায় কোপ বসিয়ে দেয় আলি। এরপর দরজার পিছনে লুকিয়ে পড়ে।


আরও পড়ুন: জামাই শ্বশুরকে ফোন করে শুধু 'বাবা' বলেছিলেন, তাতেই বিপদ জানান দিয়েছিল!


নাতনির গোঙানির শব্দ শুনে ঘরে ছুটে আসেন দাদু। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায়  বিছানায় পড়ে থাকতে দেখে কোলে তুলে নেন। কিন্তু এরই মধ্যে দাদুর গলাতেও পিছন থেকে ছুরির কোপ পড়ে। পিছন ঘুরতেই আলি আরও কয়েকবার ছুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় ওই প্রৌঢ়কে। এদিকে চিত্কার চেঁচামেচিতে ঘরে ঢুকে পড়েন নাবালিকার দিদিমা ও তার ভাইও। আলি তাঁদেরকেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে  পালিয়ে যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার দাদুর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাবালিকা, তার দিদিমা রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।