নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘদিন ধরেই প্রাণভয়ে ছিলেন ডোমকলের নিহত তৃণমূলনেতা আফতাব শেখ। দলকে সেকথা জানানোও হয়েছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। স্বামীর মৃত্যুতে আফসোস নিহতের স্ত্রী।  মুর্শিদাবাদের ডোমকলে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক জনকে আটক করেছে পুলিস। ঘটনায় ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে গ্রাম জুড়ে চলছে তল্লাশি। ঘটনার পর থেকে থমথমে এলাকা। নেতা খুনে উঠে আসছে সুপারি-যোগ। রাজনৈতিক শত্রুতাতেই খুন হয়েছেন আলতাব, প্রাথমিক তদন্তের পর নিশ্চিত পুলিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


...........


 


এদিকে, নিহত তৃণমূলনেতা আফতাব শেখের ছেলের বয়ানে উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাবার খুনের নেপথ্যে রনি মোল্লা নামে এক জনের জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, রনি মোল্লা ও তার দলবলও সোমবার রাতে বাবার ওপর হামলা চালায়। প্রথমে ভ্যান দিয়ে বাইকে ধাক্কা মারা হয় তাঁকে। আফতাব মাটিতে পড়ে গেলে, তাঁর ওপর দিয়েই ভ্যান চালিয়ে দেওয়া হয়। এরপর তাঁকে ঝোপে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। 


ভোটের মুখে রক্ত ঝরল মুর্শিদাবাদে, কুপিয়ে খুন করা হল তৃণমূল নেতাকে
প্রশ্ন উঠছে, কে এই রনি মোল্লা? 
জানা গিয়েছে, রনি মোল্লা আগে কংগ্রেস করত। সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছে সে। 
এদিকে, ডোমকলে নিহত তৃণমূল নেতা আফতাব শেখ আগে সিপিএম করতেন। বাম আমলের দাপুটে নেতা ছিলেন তিনি। পাঁচ বছরের প্রধান ছিলেন তিনি। সেসময় জেলও খাটেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তিনি সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগে দেন। তৃণমূলে যোগ দিয়েই তিনি দলে একটি পদও পেয়ে যান। তিনি ডোমকল পঞ্চায়েত সমিতির মত্স্য কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন। এছাড়াও এলাকায় তাঁর প্রভাব বাড়ছিল। ভালো কাজের সুবাদে এলাকার মানুষের কাছে পরিচিতিও ছিল আফতাবের। 


বাবুল বাচ্চা ছেলে', আসানসোল মাতিয়ে বললেন মুনমুন সেন
এলাকায় দাপট বাড়ছিল তাঁর। দলে জায়গা পোক্ত হচ্ছিল, বাড়ছিল দ্বন্দ্ব। জনপ্রিয়তার কারণেই শত্রুতা বাড়ছিল বলে দাবি পরিবারের। সেকথা দলকে একাধিকবার জানিয়েছিলেন আফতাবের পরিবারের সদস্যরা। 
নিহতের দাদা বলেন, "তৃণমূল করতে গিয়েই খুন হতে হল ভাইকে। জনপ্রিয়তাই কাল হল ওর।'' বাবাকে খুনের জন্য ৪০ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ আফতাবের মেয়ের। 
এই ঘটনায় বিরোধীদের দিকেই আঙুল তুলেছেন ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেন। তিনি বলেন, "খুন করে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় দেখানো যাবে না। অপরাধীরা ধরা পড়বেই। কেউ ছাড় পাবে না।"