নিজস্ব প্রতিবেদন:  আরামবাগের তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন কর্মাধ্যক্ষ শেখ মোক্তার হোসেনের খুনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। এদিকে মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে সরব  মৃতের স্ত্রী সায়নারা বেগম। রবিবারের ঘটনার পর  সোমবার আরামবাগের মোজাফফরপুর গ্রাম পুরো থমথমে। আতঙ্কে মুখে কুলুপ এঁটেছেন গ্রামবাসীরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বন্ধুর সঙ্গে স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে বাধা হতেই খুন হতে হয় সোনারপুরের ব্যবসায়ীকে


 স্ত্রীর অভিযোগ, রাজনৈতিক  কারণেই তাঁর স্বামীকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। স্ত্রীর দাবি,  মোক্তারকে বাড়ি থেকে টানতে টানতে প্রায় ৬০০ মিটার দূরে নিয়ে গিয়ে পশ্চিমপাড়ার টাওয়ারের কাছে খুন করা হয়েছে। কর্মাধ্যক্ষ  থাকাকালীন ২ বছর ঘর ছাড়া ছিলেন মোক্তার। হামলাকারীরদের মধ্যে ছিল লাল্টু, ভোঁদা সহ জয়নাল খাঁর লোকজনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মোক্তারের স্ত্রীর।


আরও পড়ুন: আরামবাগে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন তৃণমূল নেতা


প্রসঙ্গত, হরিণখোলার এই এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে বহুদিন থেকে বিবাদ লেগেই রয়েছে। সংঘাত তৃণমূল যুব বনাম আদির। ২০১১ সাল থেকে চলে আসা ওই গন্ডগোল তৃণমূল নেতৃত্ব মেটাতে পারেনি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তার জেরেই এই খুনের ঘটনা বলে দাবি।


আরও পড়ুন: হাইকোর্টে আর্জি মঞ্জুর, আইনি লড়াইয়ের পাশে রথযাত্রা নিয়ে আইন অমান্য কর্মসূচি বিজেপির


উল্লেখ্য, হরিণখোলার এই অঞ্চলটি সেই সিপিএমের আমল থেকে বারেবারেই উত্তপ্ত হয়েছে। দলের মধ্য গোষ্ঠীকোন্দল ও বালি তোলাকে কেন্দ্র করে বহুবার এই অঞ্চলে সংঘর্ষ হয়েছে। তৃণমূল আসার পর আদি ও নতুনদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। সেই দ্বন্দ্ব এখনও চলছে।