Durgapur: বুক ফুঁড়ে বেরিয়ে আসছে হৃত্পিণ্ড সচল রাখার যন্ত্র! স্বাস্থ্যভবনের চাপে নড়েচড়ে বসল হাসপাতাল
কাশীনাথ চৌধুরীর পরিবারের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের জন্য প্রায় ৭ লাখ টাকা নিয়েছিল হাসপাতাল। কিন্তু রোগীর ওই অবস্থার কথা বললেই ইনফেকশন বলে গর্তের জায়গা ড্রেসিং করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হত
নিজস্ব প্রতিবেদন: অস্ত্রোপচারের পর বুকের ভেতর থেকে বেরিয়ে আসছে পেসমেকার। প্রশ্নের মুখে বেসরকারি হাসপাতালের পরিষেবা। মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য দফতরের দ্বারস্থ দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী কাশীনাথ চৌধুরী।
বছর পাঁচেক আগে হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বুকে পেসমেকার(Pacemaker) বসিয়েছিলেন দুর্গাপুরের এসএন ব্যানার্জি রোডের বাসিন্দা কাশীনাথবাবু। কিন্তু গত বছরের শেষের দিকে হঠাত্ই বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। দেরি না করে দুর্গাপুরের(Durgapur) বিধাননগরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। গত ৯ ডিসেম্বর সেই হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে পেসমেকারের ব্যাটারি বদলে দেওয়া হয়। তার পর থেকেই বিপত্তি শুরু বলে দাবি কাশীনাথ চৌধুরীর।
ভর্তির দিন চারেক পর ওই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তিনি। এরপর ফের বুকে ব্যথা শুরু হয় কাশীনাথবাবুর। বুকের বামদিকে অস্ত্রোপচারের সেলাইয়ের এক জায়গায় একটি ছোট্ট গর্তের মতো তৈরি হয়ে যায়। অভিযোগ, হাসপাতালকে একথা বলার পরও তারা কোনও গুরুত্ব দেয়নি। দিন কয়েক পর সেই গর্ত দিয়ে বেরিয়ে আসতে থাকে পেসমেকার। আতঙ্ক শুরু হয়ে যায় চৌধুরী পরিবারে।
কাশীনাথ চৌধুরীর পরিবারের অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের জন্য প্রায় ৭ লাখ টাকা নিয়েছিল হাসপাতাল। কিন্তু রোগীর ওই অবস্থার কথা বললেই ইনফেকশন বলে গর্তের জায়গা ড্রেসিং করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হত। ক্রমশ অবস্থার অবনতি হওয়ায় গোটা বিষয়টি জানায় হয় মুখ্যমন্ত্রীর দফতর ও রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরে। তড়িঘড়ি স্বাস্থ্য দফতর বিষয়টি দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতালকে খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দেয়। বিড়ম্বনা এড়াতে কাশীনাথ চৌধুরীর পরিবারের লোকজনকে ডেকে পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বসানো হয় বোর্ড মিটিং। সংকটজনক অবস্থায় বুক ফুঁড়ে বেরিয়ে আসা ওই যন্ত্র বুকে চেপে কাশীনাথবাবু ফের আসেন দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে। পরিবারের দাবি, রোগীকে সুস্থ করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিক হাসপাতাল।
এই ঘটনা নিয়ে দুর্গাপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন পুরপিতা পল্লব রঞ্জন নাগ জানান, হাসপাতালের গাফিলতিতেই একজন রোগী এভাবে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। অবিলম্বে হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানান প্রাক্তন পুরপিতা। যদিও দুর্গাপুরের ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে চিফ মেডিকেল সুপার ডা দুর্গাদাস রায় জানান, অভিযোগ ভিত্তিহীন, তদন্ত করে, বোর্ড মিটিং করে সবটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-"ছেলেটা মুসলিম তাই সবাই ঝাঁপিয়ে পড়েছে", আনিসকাণ্ডে বিস্ফোরক দিলীপ