নিজস্ব প্রতিবেদন: ইয়েস বেঙ্গল ক্যান। রাজ্যের লক্ষ্য এখন শিল্প। পানাগড় শিল্পতালুকে একটি পলিফিল্ম কারখানার শিলান্যাস করতে এসে এমনটাই বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের অনুষ্ঠান থেকে রাজ্যের একাধিক প্রকল্পের শিলান্য়াস ও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রাজ্যের শিল্পের একাধিক সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ED Raid: ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ড-সহ ছয়টি মামলায় শহরজুড়ে তল্লাশি অভিযান ইডির


রাজ্যের একাধিক শিল্পতালুক ছাড়া সরকারের লক্ষ্য এখন বীরভূমের দেউচা-পাঁচামি কয়লা খনির কাজ শুরু করা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দেউচা-পাঁচামি এখান থেকে এক ঘণ্টার রাস্তা। দুনিয়ায় দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি এখানেই তৈরি হবে। ১৫ হাজার কোটি বিনিয়োগ হবে এখানে। এটি তৈরি হয়ে গেলে আগামী একশো বছরে রাজ্যে বিদ্যুতের অভাব হবে না। এতে শিল্পের সুবিধে হবে। ওই খনি তৈরির জন্য যে রিহ্যাবিটিটেশন কাজ তা আগামী ২-৩ মাসের মধ্য়েই শুরু হয়ে যাবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে জমিদাতাদের চাকরি হবে, ঘর হবে, স্কুল হবে, সবকিছুই হবে জমিদাতাদের।


রাজ্যে শিল্প সম্ভাবনার কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডানকুনি থেকে অমৃতসর পর্যন্ত ফ্রেট করিডর তৈরি হচ্ছে। এছাড়া পানাগড় থেকে রঘুনাথপুর পর্যন্ত যে শিল্পতালুক হবে তার নাম দিয়েছি জঙ্গলমহল সুন্দরী। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের ওই শিল্পতালুকে বিনিয়োগ হবে ৭২ হাজার কোটি টাকা। অধিকাংশ জায়গায় জমি নেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সরকার শিল্পের পাশে রয়েছে।


মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, আমরা ২টি নতুন পলিসি ঘোষণা করছি রাজ্যে শিল্পের অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য।
একটি হল ইথানল প্রোডাকশন প্রমোশন পলিসি ও অন্যটি হল ডেটা সেন্টার পলিসি। দেশের মধ্যে আইটি সেক্টরের গন্তব্য এখন বাংলা।
ডেটা সেন্টার গুলোর জন্য রাজ্য সরকার সব ধরনের সাহায্য করবে। ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগে চার হাজার কর্মসংস্থান হবে। 


কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর কে আগামি দুবছরে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর হিসাবে তৈরি করা হবে বলে ঘোষণা করেন মমতা। পাশাপাশি তিনি বলেন, বালুরঘাট ও কোচবিহার বিমানবন্দর প্রায় তৈরি। এছাড়া ৩০টি হেলিকপ্টার স্টেশন তৈরি হচ্ছে। অশোক নগরে আইওসি তেল প্রকল্প করছে রাজ্য সরকারের সঙ্গে।


আরও পড়ুন-West Bengal Elections: উপনির্বাচন সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত! আজই মুখ্যসচিবদের সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচন কমিশন


এদিন মমতা আরও বলেন


রাজ্যের শিল্পের উপরে নজর রাখতে তৈরি করা হয়েছে  West Bengal Industrial Promotion Board। জানালেন মমতা। ওই বোর্ডে আমি নিজে আছি। প্রতি মাসে আমি একবার করে এই বোর্ডের সাথে বৈঠকে বসবো। দেশে যখন দারিদ্র বাড়ছে তখন আমি দ্বায়িত্ব নিয়ে বলতে পারি বাংলায় দারিদ্র কমিয়েছি ৪০ শতাংশ। অনেকে তো বলে কালা ধন নিয়ে আসবো। কিন্তু কিছুই আসে না। কিন্তু আমরা শপথ নেওয়ার মাত্র তিন মাসের মধ্যে এতগুলো কাজ করে দিয়েছি।


ব্যাঙ্কের কাজের সময়সীমা সারা দিনের জন্য করে দেওয়া হল।


গতকাল লক্ষীরভান্ডার প্রকল্পে নাম নথিভুক্তের সংখ্যা ২ কোটি।


বাংলায় গতকাল পর্যন্ত টিকা করণ হয়েছে ৪ কোটি। কিন্তু বাংলার তো প্রয়োজন ১৪ কোটি। কেন্দ্র না দিলে কি করব।


হুড়োহুড়ি করবেন না। সরকার সময় বলে দেবে। সেইমতো সবাই পাবেন। কেউ বাদ যাবেন না। আমরা তো শহর এলাকায় ইতিমধ্যেই ৭৫ শতাংশ টিকা দিয়েছি। একটু অপেক্ষা করুন।


গ্রামের স্মল স্কেল ইন্ডাস্ট্রি গুলোর দিকে নজর দিন। ওখানে অনেক কাজের জায়গা আছে।


বাংলা একসময় শিল্পে এক নম্বর ছিল।


আমার পরবর্তী টার্গেট বাংলাকে শিল্পে এক নম্বর করা।


আমি জানি শিল্পপতিরা বেশ কিছু সমস্যায় রয়েছেন। এদিকে গেলে ইডি, ওদিকে গেলে সিবিআই।


"ইয়েস বেঙ্গল ক্যান" বাংলা পারবে। নতুন শ্লোগান।


পরবর্তী বেঙ্গল বিজনেস সামিট পরের বছর ফেব্রুয়ারি বা মার্চ মাসে করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)