Panchayat Election 2023: শাশুড়ি সাবিত্রী-জামাতা সোমদীপের জোর বিবাদ, সরগরম ভোটমুখী মালদা!
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার সাধারণ সম্পাদক জামাতা সোমদীপ সরকার বলেন, তিনি-ই জেলা পরিষদের ২৮ নম্বর আসনের মূল দাবিদার ছিলেন। কিন্তু শাশুড়ি তথা বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক বিবাদের ফলে তাঁর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
রণজয় সিংহ: শাশুড়ি ও জামাতার বিবাদে সরগরম মালদার মানিকচকের রাজনীতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদা জেলা পরিষদের ২৮ নম্বর আসনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের জামাতা সোমদীপ সরকার। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ হতেই দেখা যায় এই আসনে প্রার্থী করা হয়েছে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি কবিতা মণ্ডলকে। এরপরই নিজের শাশুড়ি সাবিত্রী মিত্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন জামাতা সোমদীপ সরকার।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলার সাধারণ সম্পাদক সোমদীপ সরকার বলেন, দীর্ঘ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী হিসাবে সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করছেন। এক বছর আগে থেকে মানিকচক বিধানসভার জেলা পরিষদের ২৮ নম্বর আসনে অন্তগর্ত ৪টি অঞ্চলে বুথ কমিটি গঠন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তিনি-ই জেলা পরিষদের ২৮ নম্বর আসনের মূল দাবিদার ছিলেন। কিন্তু শাশুড়ি তথা বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের সঙ্গে তাঁর পারিবারিক বিবাদের ফলে তাঁর নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ জামাতা সোমদীপ সরকারের।
তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি। এখন সোমদীপ সরকারকে জেলা পরিষদের প্রার্থী না করার ফলে বর্তমানে তাঁর অনুগামীরা যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরাও প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নিতে চাইছেন। যদিও বিষয়টি নিয়ে মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছেন। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিও মুখে কুলুপ এঁটেছেন শাশুড়ি ও জামাতার গৃহযুদ্ধ নিয়ে।
আরও পড়ুন, এক বাড়িতেই CPM-TMC-CONG, পঞ্চায়েতের দখল নিতে লড়াইয়ে তিন জা