বিক্রম দাস ও প্রসেনজিত্ সরদার: মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বোমা, গুলি চলল ক্যানিংয়ে। পাশাপাশি পুলিসকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হল ভাঙড়ে বাসন্তী হাইওয়ের উপরে। ক্য়ানিংয়ে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গন্ডগোল থামাতে চলল পুলিসের ব্যাপক লাঠিচার্জ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ভোটের মুখে বাঁকুড়ায় তৃণমূল-বিজেপি, ২ শিবিরেই ভাঙন! পাল্লা ভারী কংগ্রেসের


গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ক্যানিংয়ের হাসপাতাল মোড় ও বাসস্ট্যান্ড। একদল অন্য দলের উপরে বৃষ্টির মতো ইট ছোড়ে। একদলকে লক্ষ্য করে অন্যদল বোমা ছোড়। বিকট আওয়াজ ও ধোঁয়ায় অন্ধকার হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিসের সামনেই চলে বোমাবাজি। জনতাকে থামাতে লাঠিচার্জ করে পুলিস। এর মধ্যেই এক জন গুলিবিদ্ধ হন। 


অন্যদিকে, আইএসএফ ও তৃণমূলের লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। বাসন্তী হাইওয়ের উপরে বিবিরহাটে রাস্তার উপরে মুড়ি মুড়কির মতো বোমা পড়ে। দু'পক্ষকে সামাল দিতে গিয়ে হিমসিম খেয়ে যায় পুলিস। আইএসএফ ও পুলিসের খন্ডযুদ্ধ বেধে যায়। রড, বাঁশ নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে আইএসএফ সমর্থকরা। তাদের দাবি মনোনয়ন জমা দিতে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে । পুলিস কিছু করছে না। পাল্টা হামলার করা হয়েছে শাসকদলের পক্ষ থেকে। একের পর এক ভাঙচুর করা হয় পুলিসের গাড়ি। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে বাসন্তী হাইওয়ে।


বাসন্তী হাইওয়ের বিবিরহাটে মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়েছিল আইএসএফ সমর্থকরা। তাদের কারও হাতে, দা, কারও হাতে বাঁশ, কেউ লোহার রড নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। পুলিসের দেখা নেই। যেখানে পুলিস ছিল সেখানে পুলিসের সঙ্গে আইএসএফ সমর্থকদের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে। গতকালও ভাঙড়ে প্রবল গন্ডগোল হয় ভাঙড়ে। তার পর মনে করা হয়েছিল পুলিসের তরফ থেকে কোনও ব্য়বস্থা নেোয়া হবে কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল অন্য ছবি। মুড়িমড়কির মতো পড়লে বোমা। বিবিরহাট থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে চলে গেল যাত্রীবাহী গাড়ি।


মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বেরিয়ে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দুপক্ষের মধ্যে চলল বোমাবাজি। মাদার তৃণমূলের একজনের পায়ে গুলি লেগেছে বলে জানা যাচ্ছে। পুলিস লাঠিচার্জ করে সংঘর্ষকারীদের হঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। জানা যাচ্ছে ব্লক সভাপতি শৈবাল লাহিড়ির সঙ্গে বিধায়ক পরেশরাম দাসের গোষ্ঠীর এই বিবাদ। আজ নমিনেশন দেওয়ার সময়ে যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে অন্যপক্ষকে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, যুবর অভিযোগ মাদার তৃণমূলের লোকজন তাদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি করেছে। ক্যানিংয়ে গুলিবিদ্ধ যুবকের দাবি একটা গুলি এসে পায়ে লেগেছে। পরেশরাম দাসের গোষ্ঠীর লোক গুলি চালিয়েছে। আমরা মাদার তৃণমূল কর্মী। শৈবাল লাহিড়ির অনুগামী। 


ক্যানিংয়ে তৃণমূল ব্লক সভাপতি শৈবাল লাহিড়ির অভিযোগ, এসপি, ডিএম, এসডিজিও সবাইকে জানিয়েছি। তার পরেও বোম গুলি মজুত করে আমাদের উপরে হামলা হচ্ছে। এসডিপিও, আইসি বলছে আমাকে নাকি খুন করা হবে। কিন্তু আমাদের কর্মীরা মনোনয়ন জমা দেবে। যারা এসব করছে তারা তৃণমূল কংগ্রেসের লোক হতে পারে না। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)