কিরণ মান্না: বহু টালবাহানার পর শেষপর্যন্ত মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন না শেখ সুফিয়ান। তার পরিবর্তে নন্দীগ্রামে জেলা পরিষদ আসনে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাচ্ছেন শেখ শামসুল। গতকাল নন্দীগ্রামের একটি পার্টি অফিসে তালাবন্ধ করে বিক্ষোভ দেখানোর পর এই সিদ্ধান্ত বলে খবর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-নন্দীগ্রামে যখন তৃণমূল ছিল না তখন আমাদের প্রয়োজন ছিল, কেন এমন আক্ষেপ শেখ সুফিয়ানের


কী নিয়ে গোলমাল? নন্দীগ্রাম জেলা পরিষদের আসনে প্রার্থী হিসেবে নাম উঠেছিল দাউদপুর পঞ্চায়েত প্রধান শেখ শামসুলের। কিন্তু তা না করে শেখ সুফিয়ানকে প্রার্থী করা হয়। এনিয়েই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন শেখ শামসুলের অনুগামীরা। গতকাল রাতে নন্দীগ্রামের পার্টি অফিসে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। অবস্থা সামাল দিতে সেখানে গিয়ে পৌঁছন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। শেষপর্যন্ত প্রার্থী করা হয় শেখ শামসুলকে। তবে ইতিমধ্যেই ১০টি পঞ্চায়েতে নির্দল হিসেবে প্রার্থী দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। 


তৃণমূলের নবজোয়ারে প্রার্থী বেছে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে দল। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শেখ সুফিয়ানকে ভোট দেন ৭ জন। অন্যদিকে, শেখ শামসুলকে ভোট দেন ৭১ জন। ফলে শামসুলের মনোনয়নের দাবি প্রবল হয়। তবে দল সুফিয়ানকে প্রার্থী করে দেয়। তাতেই নন্দীগ্রামে দিকে দিকে বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়।  


দলের তরফে সবুজ সংকেত পেয়ে শেখ শামসুল বলেন, দল যেটা মনে করেছে সেটাই করেছে। দলের সিদ্ধান্তই মাথা পেতে নিয়েছি। দল যখন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তখন তো কিছু ভেবেই করেছে? গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কিছু নেই। যারা নন্দীগ্রামে রক্ত ঘাম ঝরিয়ে দলকে দাঁড় করিয়েছে তাদের কথাই শুনেছে দল। আমাকে দলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই জন্য় মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছি। নন্দীগ্রামের ১০টি অঞ্চলে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বাকীটা করব।


অন্যদিকে, দলের নির্দেশ মেনে শেখ সুফিয়ান আজ মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, দলের নির্দেশ মেনে তিনি আজ মনোনয়ন জমা দিতে যাচ্ছেন না। দলের নির্দেশই তার শিরোধার্য। তিনি নেতৃত্ব পদে থাকবেন নমিনেশন করবেন না। কেবল প্রার্থী পদ নিয়ে দলের মধ্যে রেষারেষি সিনিয়র নেতৃত্ব হিসেবে তিনি চাইছেন না। প্রার্থী পদ নিয়ে কোনও সময়ই তার ক্ষোভ ছিল না। তাকে অবজ্ঞা করাটাই প্রধান ক্ষোভ ছিল তাঁর। দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা ,গতকাল রাত্রিতে প্রার্থী পদ নিয়ে কিছু লোক বিক্ষোভ করে নোংরামি করেছে। এটা দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। কুনালদা আমাকে সেই পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে এসে ফোন করেছেন। কী করা যাবে জিজ্ঞাসা করেছেন। আমি বলেছি দল যেটা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই মেনে নেব। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক। দল যা নির্দেশ দেবে সেটাই আমার শিরোধার্য। দলের নির্দেশ মতোই আমি নমিনেশন করছি না।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)