দেবজ্য়োতি কাহালি: কয়েকদিন আগেই দিনহাটায় এক বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এসে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। এবার এক তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীকে ঘিরে ধরে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা। সোমবার ওই ঘটনা ঘটেছে গীতালদহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। গুলিবিদ্ধ আজিজুর রহমান। অভিযোগ উঠেছে নির্দল প্রার্থী হামিদুল হকের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। আজিজুলকে ঘিরে পরপর ৪টি গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-লাইসেন্স নেই তবুও সার্জারি! নামী চিকিৎসাকেন্দ্রের বেনিয়মে পা হারালেন প্রৌঢ়


এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েছেন ডলি খাতুন। সোমবার দলীয় কর্মসূচি সেরে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁর স্বামী আজিজুর। সেইসম তাঁর বাড়ি থেকে প্রায় পঞ্চাশ মিটার দূরে বেশ কয়েকজন ঘিরে ধরে মারধর করে। তারপরই তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় হামলাকারীরা। গুলির শব্দে জড়ো হয়ে যায় আসপাশের লোকজন। সঙ্গে সহ্গেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কোচবিহারের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে। জানা যাচ্ছে তার অপারেশনের প্রয়োজন।


খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও দলের এক মুখপাত্র। জেলা সভাপতির দাবি, বিজেপি আশ্রীত দুষ্কৃতীরাই ওই কাণ্ড করেছে। এমনটাই দাবি পার্থ প্রতিম রায়ের।  ওই ঘটনা নিয়ে উদয়ন গুহ বলেন, বাইরে আছি। যতদূর জানি কিছু সমাজবিরোধী তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীকে ঘিরে ধরে গুলি করেছে। তার শরীরে গুলি বিঁধে রয়েছে। অপারেশন হচ্ছে। দিনহাটার গিয়ে খোঁজ নেব বিষয়টি কী। তবে বিভিন্ন জায়গায় এভাবেই তৃণমূল প্রার্থীদের উপরে হামলা হচ্ছে। কিছু নির্দল প্রার্থীর সঙ্গে দুষ্কৃতীদের যোগ রয়েছে। তারাই এরকম দুঃসাহসিক কাজ করছে।



গতকালই বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় বিজেপি প্রার্থীর দেওরকে। দিনহাটার কিশামত দশগ্রামের টিয়াদহ এলাকার ঘটনা। মৃত ব্যাক্তির নাম শম্ভু দাস। শনিবার গভীর রাতে বিজেপি প্রার্থীর পরিবারের এক সদস্যকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয় বলে জানা যায়। বাড়ির অদূরে তার রক্তাক্ত অবস্থায় দেহ উদ্ধার হয়। ওই ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তার বৌদি বিজেপি প্রার্থী বিশাখা দাস। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে যে শনিবার রাতে খাওার পরে বাড়িতেই ছিলেন শম্ভু দাস। বেশ কয়েকজন এসে তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়ির থেকে বেশ কিছুটা দূরে ন্যে গিয়ে তাঁকে খুন করা হয় বলে জানা গিয়েছে। পরিবারের অভিযোগ বেশ কিছুক্ষন সময় চলে যাওয়ার পরে তাঁরা ঘটনাস্থলের দিকেই যাচ্ছিলেন এবং কিছুদূর যাওয়ার পরেই শম্ভু দাসের রক্তাক্ত দেহ মাটিতে পরে থাকতে দেখা যায়।


মনোনয়নের শেষদিনে দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। একজনের দেহ এখনও পড়ে রয়েছে রাস্তায়! মৃত্যু হল আরও এক গুলিবিদ্ধের। তাঁর দেহে পাওয়া গেল ৩ গুলি চিহ্ন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও বেশ কয়েকজন। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রশিদ মোল্লা। বাড়ি, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জীবনতলায় এলাকায়। তৃণমূলকর্মী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। এদিন ভাঙড়ে পানাপুকুর এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এরপর কলকাতায় চিত্তরঞ্জন মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে, রশিদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। 


গত বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নের শেষদিন। ভাঙড় ২ নম্বর বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে যান ISF-র একশোরও বেশি প্রার্থীরা। কিন্তু তখন বিডিও-র অফিসের সামনে কার্যত মুড়ি-মুড়কির মতো বোমা পড়ছে, সঙ্গে গুলিও! এমনকী, মুখে গামছা আর হাতে লাঠি নিয়ে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরও চালাতে দেখা যায় দুষ্কৃতীদের। গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান ISF কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লা। মাথায় গুলি লেগেছিল তাঁর। এবার সেই সংখ্যাটা বেড়ে হল ২।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)