নিজস্ব প্রতিবেদন : পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে ফের হিংসার ঘটনা ঘটল। এদিন পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি এলাকা। বিরোধীরা যাতে বোর্ড গঠন করতে না পারে, সেজন্য ৩ জন জয়ী বিজেপি প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনা ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সাঁতুড়ি। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়  এলাকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, রাজ্যে লিটার পিছু ১ টাকা কমল পেট্রোল-ডিজেলের দাম, নবান্নে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর


পুরুলিয়ার সাঁতুড়ি পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ১৩টি। তারমধ্যে ৬টি আসন পায় বিজেপি। ৬টি আসন পায় তৃণমূল কংগ্রেস। ১টি আসন পায় সিপিএম। ফলে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা কোনও দলই পায়নি। এই পরিস্থিতিতে বোর্ড গঠনকে ঘিরে নতুন করে এদিন উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সাঁতুড়ি।  প্রসঙ্গত, নির্বাচনের দিনও উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এই সাঁতুড়িতে।


আরও পড়ুন, 'কলেজ পাড়ার বাড়িটির দিকে শঙ্কা মিশ্রিত সম্ভ্রম নিয়ে তাকিয়ে থাকতাম', ডিলিট গ্রহণ করে স্মৃতিমেদুর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়


বিজেপির অভিযোগ, তাঁদের বোর্ড গঠনে বাধা দেওয়ার জন্য এদিন সকালে ৩ জন জয়ী  প্রার্থীকে অপহরণ করে দুষ্কৃতীরা। এই দুষ্কৃতীরা সবাই শাসকদল আশ্রিত বলে দাবি বিজেপির। এরপরই কার্যত এলাকার দখল নিয়ে নেয় গেরুয়া বাহিনী। পাল্টা তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থীর বাড়ি ঘেরাও করেন বিজেপি কর্মীরা। ঘেরাও করা হয় পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়িও। এমনকি, তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতাকে বিজেপি পাল্টা অপহরণ করেছে বলেও অভিযোগ করে শাসকদল। সব মিলিয়ে সাঁতুড়িতে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।


আরও পড়ুন, রাত হলেই আওয়াজ পাওয়া যেত! বাড়ির মধ্যেই 'সপরিবারে' লুকিয়ে ছিল ৩০-৩৫টি...


বাঁশ, লাঠি হাতে রাস্তায় দাপাদাপি করতে দেখা যায় বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের। পুলিসকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। অভিযোগ, বেশকিছু বাড়িতে অগ্নিসংযোগও করা হয়। কিন্তু, এলাকায় দমকলকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। ধুন্ধুমার পরিস্থিতিতে পুলিস কার্যত ব্যাকফুটে চলে যায়।


উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে একইরকমভাবে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরে হিংসা ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায়। মৃত্যু হয় ২ তৃণমূল কর্মী সহ ১ সিপিএম কর্মীর। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে ঘিরে হিংসায় মালদার মানিকচকে গুলিবিদ্ধ হয় ৩ বছরের একটি শিশুও।