গুন্ডাবাজি চলবে না, পঞ্চায়েত স্থগিতাদেশের পর হুঙ্কার রাহুল সিনহার
পঞ্চায়েন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণের পথে হাঁটল বিজেপি। এদিনের রায়কে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এই রায় গণতন্ত্রের জয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পঞ্চায়েন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি আক্রমণের পথে হাঁটল বিজেপি। এদিনের রায়কে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, এই রায় গণতন্ত্রের জয়।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকের সন্ত্রাসের প্রতিবাদে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছে বিজেপি নেতারা। এদিনের রায়ের খবর সেখানে পৌঁছনোর পর উচ্ছ্বাস চেপে রাখতে পারেননি বহু নেতাই।
স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'মিডিয়া দেখে বোঝা যাচ্ছে, সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে। মিথ্যা কথা বলে উনি আর চালাতে পারবেন না। লোকে চালাকিটা ধরে ফেলেছে।'
আগেই বলেছিলাম, বিজেপি আদালতে তথ্য গোপন করেছে, পঞ্চায়েত মামলায় বললেন কল্যাণ
বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, 'হাইকোর্ট গণতন্ত্র রক্ষায় যে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করেছে। তার জন্য বাংলার কোটি কোটি মানুষ হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করবে। প্রকাশ্যে গুন্ডামির তাণ্ডব চলছিল এরাজ্যে। এটাকে কোনও ভাবে মেনে নেওয়া যায় না।'
রাহুলের হুঁশিয়ারি, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে চাই, তৃণমূলের গুন্ডাদের বলতে চাই, দেশে আইন আছে, আদালত আছে। যথেচ্ছাচার করব, গুন্ডাবাজি করব, ভোটলুঠ করব, মনোনয়ন বন্ধ করব, এসব চলবে না। আমি হাইকোর্টের এই রায়কে ঐতিহাসিক রায় হিসাবে মনে করছি। আমার মনে হয় পশ্চিমবাংলার ইতিহাসে এত বড় রায় এর আগে হয়নি। এই রায় গণতন্ত্রের জয়।'
দিলীপবাবুর মতে, 'এই রায়ে মমতা পরাজয় হল। হাইকোর্টের রায় সাধারণ মানুষের মনোবল বাড়াবে।'