সন্দীপ চৌধুরি: হাসপাতালে ডাক্তার-নার্সদের নিরাপত্তার প্রশ্ন সম্প্রতি বারবার উঠছে। ফের কাঠগোড়ায় কোথায় নিরাপত্তা? এবার নার্সিং আবাসনে মদ্যপ যুবকের হানায় আতঙ্ক ছড়াল। সোমবার দুপুরে মুন্না সেখ নামে এক মদ্যপ যুবক আবাসনের দ্বিতীয় তলে উঠে নার্সদের রুমের দরজায় ধাক্কা দেয়। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে নার্সরা। আতঙ্কিত নার্সদের ফোন পেয়ে সুপারের নির্দেশে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিযুক্ত যুবক হাসপাতালের এক চতুর্থ শ্রেনীর কর্মীর ছেলে। মদ্যপকে চিহ্নিত করে কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করলে পুলিস তাকে গ্রেফতার করে কাটোয়া মহকুমা আদালতে পেশ করে। সোমবার কাটোয়া হাসপাতালের কাছেই নার্সিং আবাসনের ঘটনা। সোমবার দুপুরে মুন্না সেখ নামে এক যুবক পেশায় অ্যাম্বুলেন্স চালক মদ্যপ অবস্থায় সিঁড়ি বেয়ে হাসপাতালের নার্সিং আবাসনের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে পর পর নার্সদের ঘরের দরজায় ধাক্কা দেয়। মদ্যপ যুবকের কাণ্ডে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে নার্সরা। 


নার্সরা ভয়ে দরজা বন্ধ করে বসে থাকে। প্রিয়া ঘোষ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ঘর থেকে আমি ফোনে হাসপাতাল সুপারকে খবর দিই। সুপার ব্যবস্থা নিয়েছেন। অভিযুক্ত যুবক হাসপাতালের গ্রুপ ডি কর্মীর ছেলে। নার্সদের চিৎকারের পর অভিযুক্ত যুবক পোশাক নিয়ে চম্পট দেয় বলে অভিযোগ। 


আরও পড়ুন:Salt Lake: পঞ্চমীতেই বিষাদের সুর! মাছ ধরতে গিয়ে পুকুরে তলিয়ে গেল দুই খুদে...


নার্সদের অভিযোগ, 'নার্সিং আবাসনে আমরা নিরাপত্তার অভাব বোধ করছি। কোনও সিসি ক্যামেরা না থাকায় যে কেউ অবাধে চলে আসতে পারে। এই ঘটনায় আমরা সকলে আতঙ্কিত।' অভিযুক্ত যুবককে চিহ্নিত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাটোয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর যুবককে আদালতে পাঠালে বিচারক মুন্না সেখকে জামিন দেয়।    


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই এইরকমই এক ঘটনা ঘটে শিলিগুড়িতে। জানা গিয়েছে, নার্সকে মারতে রড হাতে তেড়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে রোগীর স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় হাসপাতাল চত্বরে। যদিও হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই নার্স, পরেশবাবুর স্ত্রীকে দেখার জন্যই যাচ্ছিলেন। তার আগেই ওই ব্যক্তি লোহার রড তুলে তাঁকে মারতে উদ্যত হন। পরবর্তীতে হাসপাতালে থাকা অন্য নার্স এবং সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা অভিযুক্তের হাত থেকে রড সরিয়ে নেন। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে যায় ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিস। অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।


খবর পেয়ে ছুটে আসেন ফাঁসিদেওয়ার বিএমওএইচ ডাঃ শাহানুর ইসলাম। তিনি জানান যে, ঘটনার সময় অভিযুক্ত মদ্যপ অবস্থায় ছিল।      


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)