বরুণ সেনগুপ্ত ও পিয়ালি মিত্র: আরজি করের নির্যাতিতার দেহ সৎকার নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পানিহাটি শ্মশান কর্তৃপক্ষের। তড়িঘড়ি দাহ করা হয় দেহ! স্বীকারোক্তি পানিহাটি শ্মশানঘাটের ম্যানেজারের। এই পানিহাটি শ্মশানেই আরজি করের নির্যাতিতা চিকিত্‍সক-পড়ুয়ার দেহ সত্‍কার করা হয়। সেই শ্মশানঘাটেরই ম্যানেজার এদিন সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে স্বীকার করে নেন যে, নির্যাতিতার দেহ তড়িঘড়ি দাহ করা হয়েছিল। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শ্মশানঘাটের ম্যানেজার আরও জানান, আগের থেকে এসে পুলিস বলে গিয়েছিল যে নির্যাতিতার দেহ আগে দাহ করতে হবে। সেইসময় পানিহাটি শ্মশানে আরও দুটি মৃতদেহ সত্‍কারের জন্য লাইনে ছিল। কিন্তু দুটি দেহ আরও থাকা সত্ত্বেও, সেগুলিকে ফেলে রেখে নির্যাতিতার দেহ তড়িঘড়ি পুলিস আগে দাহ করে দেয় ভিড় এড়াবার অছিলায়। এপ্রসঙ্গে সিপিআইএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর আরও অভিযোগ, নির্যাতিতার দেহ তড়িঘড়ি পোড়ানোর জন্য শ্মশানঘাটে আগেই একাধিক তৃণমূল নেতা দাঁড়িয়েছিলেন। নির্যাতিতার দেহ আসার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর দেহ সৎকারের কাজ শুরু হয়ে যায়। লাইনে আগে থেকে আরও ২টো দেহ পড়ে থাকা সত্ত্বেও নির্যাতিতার দেহ কী করে আগে দাহ করা হল? সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কোনও তথ্য গোপন করার চেষ্টাতেই কি পুলিসের তড়িঘড়ি দেহ দাহ করা? সাফ প্রশ্ন সুজন চক্রবর্তীর। 


যদিও এই নিয়ে লালবাজার কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সেদিন পরিবার যা যা দাবি করেছিল, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি সহ অন্য হাসপাতালের মহিলা ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক আনা, সেই সব ব্যবস্থা-ই করা হয়েছিল। পরিবার চেয়েছিল শববাহী গাড়ি এসকর্ট করে পৌঁছে দেওয়া হোক। পুলিস তাদের সেই ব্যবস্থাও করে দেয়। পরিবার যদি চাইত তাঁরা দেহ সংরক্ষণ করত। পুলিসের পক্ষে কখনওই দেহ সৎকার করা সম্ভব নয়। কারণ দেহ সত্‍কারে পরিবারের কনসেন্ট লাগে। তাড়াহুড়ো করে দেহ সৎকার করার দাবি ভিত্তিহীন। 


আরজি করের চিকিত্‍সক-পড়ুয়াকে 'ধর্ষণ-খুনে'র ঘটনায় উত্তাল সারা রাজ্য়। ন্যায়বিচার চেয়ে আন্দোলনে নেমেছে জুনিয়র ডাক্তাররা।প্রতিবাদে সোচ্চার সাধারণ নাগরিকরাও। অবস্থান-বিক্ষোভে বিরোধীরাও। ময়নাতদন্তে নির্যাতিতার দেহে মিলেছে ২৫টি আঘাতের চিহ্ন। যারমধ্যে ১৬টি বাহ্যিক ও ৯টি অভ্যন্তরীণ ক্ষত। যোনিতে মিলেছে আঘাতের চিহ্ন ও ক্ষত। নারকীয় নির্যাতনের স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। ওদিকে এক উচ্চপদস্থ সিবিআই আধিকারিকের কথায়, হাসপাতালে চলা বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছিলেন নির্যাতিতা। যে কারণেই সম্ভবত তিনি 'টার্গেট' হয়ে যান! আর এই গোটা ঘটনার পিছনে উঠে এসেছে আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষের নাম। সিবিআই স্ক্যানারে তাঁর ভূমিকা। 


আরও পড়ুন, Kolkata Doctor Rape and Murder Case: কেন 'ধর্ষণ ও খুন' আরজি করের ট্রেইনি ডাক্তারকে? CBI আধিকারিকের বিস্ফোরক বয়ান...



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)