`লাথিটা কার দেখতে হবে`, জয়প্রকাশকে লাথি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের
সোমবার বিকেলে এই নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, `যারা মেরেছে, তারা বিজেপির লোক না জনগণ তা জানতে হবে।` তিনি বলেন, `ওরা তো ভোট দিতেই জানে না। স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছে ভোট দিতে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করিমপুর উপনির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদারের হেনস্থার ঘটনায় বিতর্কিত প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পার্থবাবু বলেন, 'লাথিটা কার, বিজেপির লোকের না জনগণের, দেখা হোক।'
সোমবার রাজ্যের অন্য ২ বিধানসভা কেন্দ্রের সঙ্গে নদিয়ার করিমপুরেও ছিল উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এদিন বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যেই শেষ হয় ভোটগ্রহণ। করিমপুরের ঘিয়াঘাটে দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়েন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার। তাঁকে লাথি মেরে রাস্তার পাশে ঝোপে ফেলে দেন এক ব্যক্তি। পুলিস ও সিআরপির সামনেই ঘটে এই ঘটনা। ইতিমধ্যে ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। আগামিকাল বিষয়টি সংসদে উত্থাপন করবে তারা।
সোমবার বিকেলে এই নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'যারা মেরেছে, তারা বিজেপির লোক না জনগণ তা জানতে হবে।' তিনি বলেন, 'ওরা তো ভোট দিতেই জানে না। স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছে ভোট দিতে। হারবে জেনে কাচরাবাবু সাংবাদিক বৈঠক করতে বসেছেন।'
জয়প্রকাশকে মারধরে মূল অভিযুক্ত তারিকুল শেখ সহ ৯ তৃণমূল কর্মীর নামে পুলিসে অভিযোগ বিজেপির
পার্থবাবুর এহেন মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ওপর শারীরিক হামলাকে কি প্রচ্ছন্নে সমর্থন জানালেন না তৃণমূলের মহাসচিব? পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে কি সমর্থন পাবে বিরোধী দলের নেতাদের শারীরিক নিগ্রহ?