Midnapur Medical College: `ভুল` চিকিত্সায় ভেন্টিলেশনে, সন্তানকে সুস্থ করতে মন্ত্রীর পায়ে পড়লেন পরিবারের লোকজন
Midnapur Medical College: শেষ খবর অনুয়ায়ী রোগী এখন ভেন্টিলেশনে। রক্ত বেরিয়ে যাওয়ায় তাকে এখন ১২ বোতল রক্ত দিতে হয়েছে। আজ হাসপাতালে আসেন তৃণমূল জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। তিনি হাসপাতালে এলে তাঁকে ক্ষোভের কথা জানায় পরিবারের লোকজন
চম্পক দত্ত: ভুল চিকিত্সায় রোগীর অবস্থা সংকটজনক। এমনটাই অভিযোগ রোগীর পরিবারের। ইতিমধ্যেই ওই রোগীকে দেওয়া হয়েছে ভেন্টিলেশন। দিতে হয়েছে ১২ বোতল রক্ত। এনিয়ে তোলপাড় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। এমনকি রোগীকে সুস্থ করার আবেদন নিয়ে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার পায়ে পড়ে মিনতি করলেন রোগীর আত্মীয়রা।
আরও পড়ুন-'ওয়াদা পুরণ করে দিদি', আলিপুরদুয়ারে ৬ হাজার জমির পাট্টা, চা শ্রমিকদের ভাতার ঘোষণা মমতার
মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন কলগাং এলাকার বাসিন্দা রিঙ্কু রায়ের মেয়ে শুক্রবার সন্ধেয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়। পরিবারের দাবি, রাত এগারোটা নাগাদ রোগীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গিয়ে অপারেশন করা হয়। কীভাবে কোনও টেস্ট না করিয়ে অপারেশন করা হল তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন আত্মীয়রা। শনিবার সকালে ফের একবার অপারেশন করা হয় বলে অভিযোগ পরিবারের লোকজনের। তার পর থেকে আর ব্লিডিং বন্ধ হচ্ছে না। রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
রোগীর পরিবারের অভিযোগ রবিবার ভোরে হাসপাতাল থেকে বলা হয় রোগীর পরিস্থিতি খারাপ। রবিবার কোনও কাজে হাসপাতালে এলেছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। সেখানেই তাঁকে কাছে পেয়ে তাঁর পায়ে পড়ে মেয়েকে সুস্থ করার জন্য কাকুতি মিনতি করেন রোগীর পরিবারের লোকজন। মন্ত্রীর পায়ে পড়ে যান তাঁরা। এনিয়ে হাসপাতালে যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে। পুলিসও মোতায়েন করা হয়েছে। হালপাতালে পুলিসের আউটপোস্টে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে রোগীর পরিবার।
এদিকে, শেষ খবর অনুয়ায়ী রোগী এখন ভেন্টিলেশনে। রক্ত বেরিয়ে যাওয়ায় তাকে এখন ১২ বোতল রক্ত দিতে হয়েছে। আজ হাসপাতালে আসেন তৃণমূল জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। তিনি হাসপাতালে এলে তাঁকে ক্ষোভের কথা জানায় পরিবারের লোকজন। সুজয় হাজরা বলেন, হাসপাতালের ডাক্তারদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। রোগীর চিকিত্সার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে রোগীকে কলকাতায় বা ভিন রাজ্যে নিয়ে গিয়ে চিকিত্সা করানো হবে। তবে চিকিত্সকদের দাবি, মেদিনীপুর মেডিক্যালে যে চিকিত্সা হচ্ছে অন্য জায়গায় গেলে সেই একই চিকিত্সা হবে। গোটা বিষয়টির উপরে আমরা নজর রাখছি।
রোগীর এক আত্মীয় বলেন, ডাক্তার বলল অ্যাপেন্ডিক্স হয়েছে। অপারেশন করতে হবে। কোনও পরীক্ষা না করেই অপারেশন করতে নিয়ে চলে গেল। অপারেশন করার পর বলছে ব্লিডিং বন্ধ হচ্ছে না। রক্ত কমে যাচ্ছে। আমরা রক্ত দিলাম। এখন ডাক্তার বলছে অবস্থা খুবই খারাপ।
অন্য এক আত্মীয় বলেন, বেডে থাকা অবস্থায় আমাদের মেয়েকে ডাক্তার জিজ্ঞাসা করল কোনও কষ্ট হচ্ছে কিনা। মেয়ে বলল পায়ে যন্ত্রণা হচ্ছে। কোনও টেস্ট না করেই রাতে ও পরদিন সকালে অস্ত্রপচার করা হয়। গতকাল অপারেশন হওয়ার পর যখনই জিজ্ঞাসা করছি তখন বলছে ডাক্তার আসবে। এভাবেই সারা রাত কেটে গিয়েছে। তার পর এই অবস্থা।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)