তন্ময় প্রামাণিক : রাজ্যের দুই প্রান্তের দুই হাসপাতালে তাণ্ডব রোগীর পরিজনদের। সন্দেশখালির পর এবার এম আর বাঙুর হাসপাতালে আক্রান্ত পুলিস। রোগীর বাড়ির লোকজন বেশি সংখ্যায় হাসপাতালে ঢুকতে চাইলে তাঁদের সঙ্গে নিরাপত্তাকর্মীদের বচসা বাঁধে। এরপরই নিরাপত্তাকর্মীদের ওপর চড়াও হন রোগীর আত্মীয়রা। এরপর নিউ আলিপুর থেকে প্রায় পঞ্চাশজন বহিরাগতদের ডেকে আনা হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিস পৌছলে, পুলিসের সঙ্গেও গন্ডগোল হয়। পুলিসের ওপর চড়াও হন রোগীর বাড়ির আত্মীয়রা। যদিও তাঁদের পাল্টা অভিযোগ, নিরাপত্তাকর্মীরাই তাঁদের ওপর লাঠিচার্জ করেছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


অন্যদিকে, চিকিত্সায় গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগে শিলিগুড়ির মাটিগাড়ায় বেসরকারি হাসপাতালে তুলকালাম বাঁধল আজ। হাসপাতালে ভাঙচুর চালাল রোগীর পরিজনরা। যদিও গাফিলতির অভিযোগ মানতে নারাজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, ট্র্যাকটরের ধাক্কায় গুরুতর জখম ছেলেকে অক্টোবরের একত্রিশ তারিখ মাটিগাড়ার নেওটিয়া গেটওয়েল হাসপাতালে ভর্তি করেন ভবতোষ মণ্ডল। ভবতোষবাবু রানিগঞ্জের পানিশালি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। নিউরো সার্জেন পাঁচবছরের শিশুকে দেখে জানান, ভয়ের কিছু নেই। অপারেশনের দরকার নেই।


আরও পড়ুন, 'খুন যেন আত্মহত্যা না হয়ে যায়', সন্দেশখালির ঘটনায় মন্তব্য রাজ্যপালের, গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের


রোগীর পরিবারের অভিযোগ, একে পর এক চিকিত্সক একই আশ্বাস দিয়ে গেছেন। শনিবার রাতে হঠাত্‍ই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট। মৃত্যু পাঁচ বছরের ওই শিশুর।পরিবারের অভিযোগ, সময়মতো ডাক্তার না আসায় চিকিত্‍সা শুরুতে দেরি হয়। দ্রুত অপারেশনের প্রয়োজন হলেও করা হয়নি। এরপরই হাসপাতালে চড়াও হয় রোগীর পরিজনরা। শুরু হয় ভাঙচুর। ভাঙচুরের খবর পেয়ে নার্সিংহোমে পৌছয় পুলিস। কিন্তু, পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিস কর্মী না থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় তাঁদের।