KYC-র ভুয়ো মেসেজ পাঠিয়েই paytm প্রতারণা, গ্রেফতার সিদ্ধহস্ত দুষ্কৃতীরা
PAYTM অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তারা `PAY`সেকশনে ঢুকত। সেখানে ফোন নম্বর দেখে KYC-র ভুয়ো মেসেজ পাঠাতো। সেই ফাঁদে গ্রাহকরা পা দিলেই তাদের ফোনে পৌছে যেত লিঙ্ক। রিমোট অ্যাকসেসের মাধ্যমে গ্রাহকের সব তথ্য চলে আসত এই দুষ্কৃতীদের হাতে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পেটিএমে প্রতারণার পর্দাফাঁস। গ্রেফতার জামতারা গ্যাংয়ের পাঁচ সদস্য। তাদের জেরা করে মিলেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এটিএম জালিয়াতিতে সিদ্ধহস্ত এই দুষ্কৃতীদের দ্বিতীয় টার্গেট ছিল পেটিএম। কারণ, এটিএম প্রতারণা ঠেকাতে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ধরপাকড়। সে জন্যই স্ট্র্যাটেজি পাল্টে অনলাইন ওয়ালেটের মাধ্যমে টাকা হাতাতো এই জামতারা গ্যাং।
আরও পড়ুন: দেওঘর থেকে গ্রেফতার পেটিএম জালিয়াতি কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড বিনোদ
কী ভাবে ফাঁদ পাতা হতো? জেরায় জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আধার লিঙ্ক করানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় বেরোতেই জালিয়াতি শুরু করে দুষ্কৃতীরা। মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে PAYTM-কে। জাল প্যান কার্ড দিয়ে সিম কার্ড কিনে চলত জালিয়াতি। PAYTM অ্যাকাউন্ট তৈরি করে তারা 'PAY'সেকশনে ঢুকত। সেখানে ফোন নম্বর দেখে KYC-র ভুয়ো মেসেজ পাঠাতো। সেই ফাঁদে গ্রাহকরা পা দিলেই তাদের ফোনে পৌছে যেত লিঙ্ক। রিমোট অ্যাকসেসের মাধ্যমে গ্রাহকের সব তথ্য চলে আসত এই দুষ্কৃতীদের হাতে।
ধৃতদের জেরা করে গ্যাংয়ের বাকি সদস্যদের নাম জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। কারা কারা যুক্ত? বাকি লিঙ্কম্যানরা কোথায়? তদন্ত চলছে। সূত্রের খবর, এখনও শহরে এই গ্যাংয়ের বেশ কয়েকজন সক্রিয় সদস্য লুকিয়ে আছে বলেও জানতে পেরেছে পুলিস।