Malbazar: আতঙ্ক! বুনো শূকরের হামলায় আহত মহিলা চা-শ্রমিক...
অরূপ বসাক: চিতাবাঘের পর এবার বুনো শুয়োরের হামলা। আহত হলেন এক মহিলা চা-শ্রমিক। এ ঘটনায় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা ব্লকের হিলা চা-বাগানে।
অরূপ বসাক: চিতাবাঘের পর এবার বুনো শুয়োরের হামলা। আহত হলেন এক মহিলা চা-শ্রমিক। এ ঘটনায় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা ব্লকের হিলা চা-বাগানে।
আরও পড়ুন: Murshidabad: তখন টিফিন-টাইম, হঠাৎই বজ্রপাত স্কুলের ভিতরের গাছে! অসুস্থ হয়ে পড়ল পড়ুয়ারা...
ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, চা-বাগানের চার নং লাইনের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী সারিতা ওঁরাও নামের এক মহিলা চা-শ্রমিক অন্যান্যদের সঙ্গে লোয়ার ডিভিশন ফাইভ সি-সেকশনে চা-পাতা তোলার কাজ করছিলেন। সেই সময় হঠাৎই একটি বুনো শুয়োর তাঁর উপর হামলা চালায়। জন্তুটি মহিলার পেট, কোমর-সহ বিভিন্ন অংশে দাঁত দিয়ে আঘাত করে। এদিকে অন্য শ্রমিকেরা হইহই করে ওঠেন। শ্রমিকদের চিৎকারে শুয়োরটি ওই মহিলাকে ছেড়ে ফের চা-বাগানের মধ্যে লুকিয়ে পড়ে। শ্রমিকরাই আহত অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার পরে মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয় তাঁকে। বন দফতরের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস মিলেছে।
ক'দিন আগে বাঁকুড়ায় শূকরের কামড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছিল সহায়সম্বলহীন এক বৃদ্ধার। মৃতার নাম করুণা কর্মকার (৮৪)। বাঁকুড়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের লালবাজার এলাকার ঘটনা। বাড়িতে একাই থাকতেন 'অসুস্থ' বৃদ্ধা করুণা কর্মকার। পাড়ার লোকেরাই তাঁকে দেখাশোনা করতেন। তবে তাঁর ছেলে ও মেয়ে এসে মাঝে-মধ্যে দেখে যেতেন তাঁকে। 'অসুস্থ' ওই বৃদ্ধার 'শূকরের কামড়েই মৃত্যু হয়েছে' বলে দাবি করা হয়েছিল স্থানীয়দের তরফে। স্থানীয় কাউন্সিলর অভিজিৎ দত্ত-ও বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই এলাকা 'শূকরের আখড়ায় পরিণত হয়েছে, লালবাজারের প্রতিটি গলিতেই শূকরের অবাধ বিচরণ'। যে ঘটনা আগে কখনও হয়নি সেটাই হল, শূকরের কামড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হল! তিনি জানান, বেআইনি ভাবে শূকর চাষের জন্যই সমস্যা বাড়ছে। পুরসভার তরফে একাধিকবার এ বিষয়ে মাইকিং করা হয়েছে, তবে পরিকাঠামোর অভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।
ওই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন, পাশের বস্তিতে শুয়োর চাষ করা হয়েছে, সেই শুয়োর যখন-তখন বাড়িতে ঢুকে পড়ছে। পুর-এলাকা শুয়োরের জ্বালায় অতিষ্ট। ওই বৃদ্ধার শুয়োরোর আক্রমণেই মৃত্যু হয়েছে দাবি করে তাঁরা বলেছিলেন, বাড়ির বাইরে শিশুদের একা ছাড়া যায় না। বিষয়টি পুরসভাকে জানালেও কোনও কাজ হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ।