নিজস্ব প্রতিবেদন: ইচ্ছা ছিল সন্ন্যাসী হওয়ার। বেলুড় মঠেও এসেছিলেন দীক্ষিত হতে।  কিন্তু পাকে চক্রে সে দিন সম্ভব হয়ে ওঠেনি। সেখান থেকে সোজা চলে গিয়েছিলেন হিমালয়ে। বেশ কিছু দিন সেখানে কাটিয়ে ফিরে আসেন আমেদাবাদে। পরবর্তীকালে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক (আরএসএ)-এ প্রবেশ এবং সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ। এখানেও বেলুড় মঠের ‘অবদান’ রয়েছে। মঠের অধ্যক্ষ প্রয়াত স্বামী আত্মস্থানন্দের নির্দেশেই দেশের সেবায় নিয়োজিত হন নরেন্দ্র মোদী। তবে, সন্ন্যাসী হওয়ার উদ্দেশ্যে বেলুড় মঠ আসার কথা বিভিন্ন সময়ে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তুলে ধরছেন প্রধানমন্ত্রী। বেলুড় মঠের সঙ্গে সে সূত্রেই আত্মিক যোগ বলে দাবি মোদীর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকেই ফোন করে  বিবেকানন্দের জন্মদিনে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং বেলুড় মঠে রাত্রিযাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। দেশের প্রধানমন্ত্রীর এই ‘আবদার’ ফেলতে পারেনি বেলুড় মঠ। এক মহারাজ কথায়, প্রধানমন্ত্রী সন্ন্যাসী হতে পারেননি, কিন্তু তাঁর মনে ত্যাগ এবং ফকিরি ভাবের উদাহরণ আমরা দেখেছি। রাজভবন বা রাজকীয় সুবিধা ছেড়ে বেলুড় মঠের মতো সাধারণ জায়গায় রাত্রিযাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। স্বামী সুবীরানন্দ বলছেন, প্রধানমন্ত্রী ঘরের ছেলে।


আরও পড়ুন- 'বক্তৃতা শুনে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে,' বেলুর মঠে মোদীর মন্তব্যকে 'কুরুচিকর' কটাক্ষ পার্থর


এ দিন মহারাজদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, মঠে এসে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়েন তিনি। দারুণ ঘুম হয়েছে তাঁর। সকালবেলায় পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া উপমা, চিনি ছাড়া দুধ-চা পান করেন। তবে, এ দিন বক্তৃতার সময় সিএএ নিয়ে মন্তব্য করে জোর বিতর্ক তৈরি করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বেলুড় মঠের মতো জায়গায় প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের মন্তব্যকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে কটাক্ষ করেন বিরোধীরা। কংগ্রেসের অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, বেলুড় মঠকে রাজনৈতিক আখড়া বানাতে চাইছেন। তবে, এই বিতর্ক এড়িয়ে গিয়ে স্বামী সুবীরানন্দ জানিয়েছেন, জাগতিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেন না তাঁরা।