নিজস্ব প্রতিবেদন : নাগরিক আইনের (Citizenship Amendment Act 2019) প্রতিবাদে বিক্ষোভের আঁচ এসে লেগেছে পশ্চিমবঙ্গেও। রাজ্যের জায়গায় জায়গায় চলছে বিক্ষোভ। হিংসা না ছড়িয়ে রাজ্যবাসীকে গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিক্ষোভে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করলে, আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে আগামিকাল রবিবার রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজেপি সূত্রে খবর, রবিবার কিছু সময়ের জন্য রাজ্যে আসবেন প্রধানমন্ত্রী। অন্ডালে নামবেন তিনি। সেখান থেকে দুমকা যাবেন প্রধানমন্ত্রী। ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন চলছে। ৩ দফার ভোট গ্রহণ হয়ে গিয়েছে। এখনও বাকি ২ দফার ভোট গ্রহণ। আগামি ১৬ ডিসেম্বর চতুর্থ দফার ভোট গ্রহণ। তার আগে নির্বাচনী প্রচারেই আগামিকাল দুমকা যাবেন প্রধানমন্ত্রী। দুমকা যাওয়ার পথেই দুপুর ১টা নাগাদ রাজ্যে আসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বঙ্গ বিজেপি সূত্রে খবর, পশ্চিমবঙ্গে অল্প সময়ের জন্য এলেও রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে পারেন মোদী। রাজ্যের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে রাজ্য নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন তিনি।


আরও পড়ুন, গুয়াহাটি-ডিব্রুগড়ে শিথিল কার্ফু; রেল স্টেশন-বিমানবন্দর পর্যন্ত বাস সার্ভিস চালু, বহু জেলায় বদলি পুলিস সুপার


উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব আইনে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যা নিয়ে প্রবল আপত্তি উত্তর-পূর্ব ভারতের ভূমিপুত্রদের। বিক্ষোভে ফেটে পড়ে অসম, ত্রিপুরা। নামাতে হয় সেনা। ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই আঁচ পশ্চিমবঙ্গে এসেও পৌঁছেছে। রাজ্যের জায়গায় জায়গায় চলছে বিক্ষোভ। লাইনে টায়ার জ্বালিয়ে ট্রেন অবরোধ করা হয়েছে। ট্রেনে ভাঙচুর করা হয়েছে। পাথর ছোড়া হয়েছে। গত ১৪ ঘণ্টায় ৪০টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে বাসেও।