Rampurhat Bus Accident: জল্পেশের পর এবার দুর্ঘটনা রামপুরহাটে, আর্থিক সাহায্য ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
টুইটে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যবধান দিন সাতেকের। জল্পেশের পর এবার বীরভূমের রামপুরহাটে পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন ৯ জন। টুইট করে শোকপ্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিহতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন।
কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল রামপুরহাটে? এদিন সকালে চাষের কাজ সেরে বীরভূমের মল্লারপুর থেকে রামপুরহাটে বাড়িতে ফিরছিলেন ৯ জন। স্থানীয় তেলডা গ্রামের কাছে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে সামনে থেকে অটোটিকে সজোরে ধাক্কা মারে একটি সরকারি বাস! এত জোরে সংঘর্ষ হয় যে, অটো থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়ে যাত্রীরা এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ৯ জনেরও। মৃতদের সকলের বাড়ি রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের কাষ্ঠগোড়া পঞ্চায়েতের পারকান্দি গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জাতীয় সড়ক ধরে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে মল্লারপুর থেকে সিউড়ির দিকে যাচ্ছিল বাসটি। তেলডা গ্রামের আচমকাই বাসের সামনে চলে আসে অটোটি। বিপদ বুঝে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন অটোর চালক। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে! বাসের ধাক্কায় অটোর বেশিরভাগ যাত্রীই রাস্তা ছিটকে পড়েন। কয়েকজন আবার অটোর ভিতরেই পিষে যান।
নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে টুইট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর্থিক সাহায্যের দাবি তোলেন তিনি। এরপর প্রধানমন্ত্রী যখন আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেন, তখন মোদীকে ধন্যবাদ জানান।
এদিকে দিন কয়েক আগে কোচবিহারের শীতলকুচি থেকে জল্পেশ মন্দিরে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন পূর্ণ্য়ার্থীরা। পিক-ভ্য়ানে বিদ্য়ুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারান ১০ জন। সেবারও নিহত পরিবার ও আহতদের জন্য আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের তরফেও নিহতদের পরিবারের হাতে ১০ লক্ষ চেক তুলে দিয়েছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
কীভাবে দুর্ঘটনা? তখন অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে। রবিবার সন্ধ্যায় কোচবিহারের শীতলকুচি থেকে পিক-অ্য়াপ ভ্যানে জল্পেশ মন্দিরে যাচ্ছিলেন একদল পুণ্যার্থী। শুধু তাই নয়, জেনারটরের সাহায্যে পিক-অ্যাপ ভ্য়ানে বাজানো হচ্ছিল ডিজে। চ্যাংড়াবান্ধার কাছে আচমকাই চিৎকার করতে শুরু করেন যাত্রীরা। তড়িঘড়ি পিক-অ্যাপ ভ্যানটি থামান চালক। ততক্ষণে বিদ্য়ুৎস্পৃষ্ট হয়ে জ্ঞান হারিয়েছেন অনেকেই। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে, ১০ জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। আহত ১৬ জনকে ভর্তি করা হয় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। রাতেই হাসপাতালে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।