মমতাকে `ধন্যবাদ` জানালেন মোদী!
জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে তাঁরা যুযুধান। বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও এখন পরস্পরের মূল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে সোমবার মেদিনীপুরের কলেজ মোড়ের সভায় বক্তৃতা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন মেদিনীপুর শহরে ঢোকার সাত-আট কিলোমিটার আগে থেকেই থিকথিক করছিল তৃণমূলের ২১ জুলাই-এর ব্যানার-ফেস্টুন এবং মমতার বড় বড় কাটআউট। সেই ছবিগুলিকেই কটাক্ষ করে সোমবার মোদী বলেন, “আমাকে স্বাগত জানানোর জন্য মমতাদিদিকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”
আরও পড়ুন: মেদিনীপুরের মঞ্চে ভাষণ দিচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী, তারই মধ্যে সভাস্থলের পিছনে ঘটে গেল ভয়ঙ্কর ঘটনা
জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে তাঁরা যুযুধান। বাংলার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও এখন পরস্পরের মূল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী তাঁরা। তাই বিপক্ষকে আঘাত করার সুযোগ ছাড়েননি মোদী। কৃষক সমাবেশ যে আসলে উপলক্ষ মাত্র, আদতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বাংলা দখলের ডাক দিতেই যে এদিন মেদিনীপুরে নরেন্দ্র মোদীর আগমন, তা অজানা ছিল না কারও। কিন্তু সভার শুরুতেই মোদীর গলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি 'কৃতজ্ঞতার সুর' শুনে প্রথমটা চমকে উঠেছিলেন সভায় উপস্থিত কয়েকশো মানুষ।
আরও পড়ুন: নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন নরেন্দ্র মোদী!
‘মোদী মোদী’ রবের মাঝে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলে উঠলেন, ‘‘আপনাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। মমতাদির কাছেও কৃতজ্ঞ।’’ মোদীর গলায় একথা শুনে রীতিমতো অবাক দেহাতি মানুষগুলো। সভামঞ্চে উপস্থিত অন্যান্য বিজেপির নেতারাও কিছুটা বিস্মিত। কিন্তু ছবি পরিস্কার হল কিছুক্ষণের মধ্যেই। এ যে আসলে মমতা-সরকারকে 'মোদী সুলভ' কটাক্ষ, তা বুঝতে দেরি হয়নি যখন মোদী বলেন, ‘‘আমাকে স্বাগত জানাতে করজোড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো হয়েছে...এর জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ। আমাকে স্বাগত জানাতে পোস্টার-ব্যানার লাগাতে হয়েছে, হাতজোড় করে অভ্যর্থনা জানাতে হয়েছে। এর জন্য তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’’
প্রসঙ্গত, এদিন মেদিনীপুর শহর জুড়ে নমোর বিশাল কাট-আউট, হোর্ডিংকে টক্কর দিয়েছে শাসকদল। মোদীর ব্যানারের পাশেই তৃণমূলের ২১জুলাইয়ের তোরণ-হোর্ডিং-কাট আউট যেন জানান দিচ্ছিল ভোটযুদ্ধে’ মোদীকে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়ছে না তৃণমূল।