বরুণ সেনগুপ্ত: দশমীর দিন খুন হন পেশায় ব্যবসায়ী রতন রায়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে নিহত রতন রায়ে ফোনের লোকেশন ট্রেস করে খুনিদের ধরে ফেলল শ্যামনগরের বাসুদেবপুর থানার পুলিস। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে টাকার জন্য খুন হয়েছেন রতন রায়। তবে এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। তদন্তে নেমে রতন রায়ের মোবাইল লোকেশন ট্রেস করতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে পুলিসের হাতে। উঠে আগে রতন রায়ের বন্ধু দেবাশিস দাসের নাম। দেবাশিসের সঙ্গে রতনের বহুদিনের বন্ধুত্ব। মূলত সুদের ব্যবসা করত রতন। দেবাশিসের ছিল খাবার হোম ডেলিভারির ব্যবসা। সেই ব্যবসায় টাকা ঢালার জন্য রতনের কাছ থেকে টাকা ধার নেয় দেবাশিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ধোনির রাঁচিতেই প্রতীক্ষিত অভিষেক, শুরুতেই জাত চেনালেন শাহবাজ


এদিকে, বহুদিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও রতনকে তার পাওনা টাকা শোধ দেয়নি দেবাশিস। সেই টাকার জন্য দেবাশিসের উপরে চাপ দিতে শুরু করে রতন। এবার সেই টাকা শোধ করার জন্য বিজয়ার দিন অর্থাত্ গত ৫ অক্টোবর উত্তর ২৪ পরগনার শ্য়ামনগরের প্রবোধ গেস্ট হাউসে রতনকে ডাকে দেবাশিস। পুলিসের জেরায় উঠে এসেছে সেইখানে ইনজামামুল হক, মহম্মদ আরমান ও পাপ্পু আনসারি নামে তিনজনকে আগে থেকে জড়ো করে দেবাশিস। রতন কে মারার জন্য তাদের রীতিমত টাকা দেয় দেবাশিস। 


পুলিসের তদন্তে উঠে এসেছে ওই গেস্ট হাউসে বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করা হয় রতনকে। শুধু তাই নয় মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথায় একাধিক বার ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর দেহ নামিয়ে একটি বাইকে বসিয়ে রতনের দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বাসুদেবপুর রথতলায়। সেখানেই দেহ ফেলে রেখে উধাওয়া হয়ে যায় চারজন। এখন ধার দেওয়া টাকা পাওয়ার জন্যই খুন নাকি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।


গেষ্ট হাউস কর্তৃপক্ষ পক্ষের দাবি, তিন ঘণ্টার জন্য তারা হোটেল ভাড়া নিয়েছিল। তারপর সবাই চলে যায়। একজনকে যে ধরে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। মনে হয়েছিল মদ খেয়ে বেশি নেশা হয়ে যাবার দরুন হয়ত তাকে ধরে নাবাচ্ছিল বাকীরা।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)