নিজস্ব প্রতিবেদন:  ৪৮ঘণ্টার মধ্যে নরেন্দ্রপুরে পুলিস সেজে ডাকাতির ঘটনার কিনারা করল পুলিস। উঠে এল বাংলাদেশি যোগ। ধৃত চারজনের মধ্যে ৩ জনই বাংলাদেশের বাসিন্দা। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দীপু শর্মা, রেজাউল শেখ, মামন শেখ ও সবুজ শেখকে। শেষ তিনজনেই বাংলাদেশের বাসিন্দা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



তাদের মধ্যে রেজাউল দলের পান্ডা। সে বাংলাদেশ থেকে এখানে এসে এখানেই পরিচয়পত্র বানিয়েছে। এর আগে ডাকাতির কেসে কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে সে। সাত বছর জেলও খাটে। কিছুদিন চুপচাপ থাকার পর ফের ডাকাতি শুরু করে।


ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে পুলিশের পোশাক,  ১টা ছুরি,  ৩রাউন্ড গুলি,  কিছু গহনা ও নগদ টাকা। এই এখনও পলাতক ৭ জন। ঘটনায় মোট ১১ জন জড়িত আছে বলে জানা গিয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র এখনও উদ্ধার হয়নি।


স্কুলের হোস্টেলের পিছন থেকে অর্ধনগ্ন বেহুঁশ মহিলা উদ্ধার, মদ খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ
 নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার পূর্ব খুড়িগাছির নেতাজিনগর আমবাগান এলাকায় মায়া দত্তের বাড়িতে ডাকাতি করে এই দল। রবিবার রাতে বাড়িতে ছিলেন ৬০ বছরের মায়া দত্ত ও তাঁর ছোট ছেলে অরূপ। তাঁদের বয়ান অনুযায়ী, রাত ২টো নাগাদ দরজায় এসে কয়েকজন আওয়াজ করে। না পেয়ে জানলায় ধাক্কা মারে তারা। পুলিশকর্মী বলে পরিচয় দেয়। ৬জনের দলে ৩জন ছিল সাধারণ পোশাকে আর বাকি তিন জন পুলিসের উর্দি পরে ছিল। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল।


পুলিস শুনে দরজা খুলে দেন অরূপ। অভিযোগ, এরপর ছজন ঘরে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে লুঠপাট চালাতে থাকে। আলমারি ভেঙে ৭০ হাজার টাকা ও ১৩ ভরি সোনার গয়না লুঠ করে পালায় তারা। যাওয়ার সময়ে বাড়ির সামনে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় বলেও অভিযোগ। দুষ্কৃতীরা পালিয়ে গেলে অরূপ তার বন্ধু সুরজিত্কে ফোন করে গোটা বিষয়টি জানান। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারাও বিষয়টি জানতে পেরে তাঁদের বাড়িতে চলে যান। ঘটনার দিনই তাড়া করে একজনকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। পরে তাকে জেরা করে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।