নিজস্ব প্রতিবেদন : বিজেপির বিজয়মিছিল ঘিরে ধুন্ধমার গঙ্গারামপুর। পুলিসি ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে গেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। দিলীপ ঘোষের সামনেই পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ালেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। লাঠিচার্জ করল পুলিস। লাঠির ঘায়ে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে পুলিসকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করারও অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের বিরুদ্ধে।জখম পুলিসকর্মীও। সব মিলিয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


বিজেপির মিছিল ঘিরে সকাল থেকেই উত্তেজনা ছিল বুনিয়াদপুরে। মিছিল আটকাতে মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিস। কিন্তু দিলীপ ঘোষ পৌঁছাতেই পাল্টে যায় পরিস্থিতি। মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে পুলিস। কিন্তু, পুলিসের কোনও আপত্তি গ্রাহ্য করেননি দিলীপ ঘোষ। পুলিসি বাধা অতিক্রম করে মিছিল নিয়ে এগিয়ে যান বিজেপি রাজ্য সভাপতি। চরমে পৌঁছায় উত্তেজনা। বুনিয়াদপুরের পর ফের গঙ্গারামপুর শহরে ঢোকার মুখে আবার মিছিল আটকানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে শহরে ঢুকে পড়েন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।


মিছিল আটকাতেই পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায় বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের। বিজেপি কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিস দিলীপ ঘোষের সামনেই তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, লাঠির ঘায়ে মাথা ফেটে গিয়েছে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী, সমর্থকের। পাল্টা পুলিসকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধেও। ইটের ঘায়ে জখম হয়েছেন পুলিসকর্মীও। মাথা ফেটে গিয়েছে। দুপক্ষে কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। রক্তাক্ত হয় এলাকা।


আরও পড়ুন, মুকুল-দিলীপ জুটিতেই লুটি, অপরিবর্তিত থাকছে রাজ্য বিজেপির উইনিং কম্বিনেশন


দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপির বিজয়মিছিল ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গঙ্গারামপুর। এই ঘটনার জন্য তৃণমূলকেই দায়ী করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। প্রথমে বুনিয়াদপুর, তারপর গঙ্গারামপুর পূর্নভবা ব্রিজের উপর, দু-দুবার মিছিল আটকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় পুলিস। শেষপর্যন্ত পুলিস পিছু হঠতে বাধ্য হয়। মিছিল নিয়ে শহরে ঢুকে পড়েন দিলীপ ঘোষ।


উল্লেখ্য, নিমতায় নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, রাজ্যে বিজেপিকে আর কোনও বিজয়মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না। তৃণমূল সুপ্রিমো অভিযোগ করেন, বিজয় মিছিলের নামে জেলায় জেলায় তাণ্ডব করছে বিজেপি। দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সন্ত্রাস ছড়ানো হচ্ছে। তাই আর বিজয় মিছিলের অনুমতি দেবে না প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেও বিজয় মিছিল হলে পুলিসকে কড়া ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।