মুকুল-দিলীপ জুটিতেই লুটি, অপরিবর্তিত থাকছে রাজ্য বিজেপির উইনিং কম্বিনেশন

রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে দিলীপের জায়গায় কে আসবেন, তা নিয়ে চলছিল জল্পনা।

Updated By: Jun 7, 2019, 10:18 PM IST
মুকুল-দিলীপ জুটিতেই লুটি, অপরিবর্তিত থাকছে রাজ্য বিজেপির উইনিং কম্বিনেশন

অঞ্জন রায় 

বাংলায় উইনিং কম্বিনেশনে কোনও বদল করছেন না মোদী-শাহ। লোকসভা ভোটে বাংলায় অপ্রত্যাশিত ফল করেছে বিজেপি। ১৮টি আসনে জয়লাভ করে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে গেরুয়া শিবির। উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহল থেকে ঘাসফুল সাবাড় করে দিয়েছেন মুকুল-দিলীপ। একুশের মহারণে মুকুল-দিলীপ জুটিতেই ভরসা রাখছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ফলে সাংসদ হলেও সভাপতির পদ খোয়াচ্ছেন না মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। 

রাজ্য বিজেপির সভাপতি পদে দিলীপের জায়গায় কে আসবেন, তা নিয়ে চলছিল জল্পনা। বিজেপির অন্দরে নানা নাম উঠে আসছিল। হাওয়ায় ভাসছিল, মেদিনীপুরে জেতার পর দিলীপ ঘোষকে পূর্ণ মন্ত্রী করে পুরস্কার দিতে পারে বিজেপি। কিন্তু দিলীপবাবু নিজেই নেতৃত্বকে জানিয়ে দেন, তাঁর লক্ষ্য আপাতত ২০২১। রাজ্যে সংগঠন বৃদ্ধির কাজ করতে চান। দিলীপের মতকে সম্মান দিয়েছেন শাহ-মোদী। তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল, দিলীপকেই সভাপতি রাখতে চায় বিজেপি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদের মেয়াদ আগেই ফুরিয়েছে। ভোটের আগে সভাপতির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, বেনজিরভাবেই দিলীপকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সভাপতি পদে রাখতে চান দিল্লির নেতারা। 

মুকুল ও দিলীপেই ভরসা 

রাজ্যে বিজেপির সাফল্যের অনেকখানি কৃতিত্ব দিলীপ ঘোষে, একথা স্বীকার করেন তাঁর অতিবড় সমালোচক। বিশেষ করে দিলীপের মেঠো বক্তৃতা ও পাল্টা দেওয়ার রাজনীতি একটা অংশের মানুষ পছন্দ করছেন। সে কারণে দিলীপকেই রাখতে চাইছে বিজেপি। দিলীপ মূলত যেমন সংগঠন বাড়িয়ে চলছেন, সেই কাজই করবেন। একইসঙ্গে রাজ্য বিজেপির মুখও কার্যত তিনিই। জেলায় জেলায় সভা-সমাবেশ করবেন। দিলীপের সঙ্গে জুড়েছেন মুকুল। তৃণমূলকে ভাঙানো থেকে নির্বাচনী রণনীতি তৈরির দায়িত্ব থাকতে তাঁর কাঁধে। আগামী দিনে তৃণমূলের হাতে থাকা পঞ্চায়েত ও পুরসভা বিজেপির দখলে আনতে পদ্মশিবিরের ভরসা মুকুলের উপরেই। তৃণমূল ভাঙাবেন মুকুল, আর অন্যদিকে বিজেপির সংগঠন গড়বেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির এক নেতার বক্তব্য, একেবারে জুটিতে লুটি।

রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, ক্রিকেটে উইনিং কম্বিনেশন চট করে ভাঙা হয় না। জয়ী একাদশই অপরিবর্তিত রাখা হয়। সে কারণেই সম্ভবত দিলীপকে সভাপতি পদে রেখে দিতে চাইছেন অমিত শাহ। আর তাছাড়া বিধানসভা নির্বাচনের আগে নতুন সভাপতি আনলে সংগঠনে অযাচিত সমস্যাও তৈরি হতে পারত। তাঁকে মানিয়ে নিতেও সময় লাগত। অযথা সময় নষ্ট করে লাভ নেই বলে মনে করছে নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন- হুমকির জেরে কলকাতায় গোমাংসের উত্‍সব বাতিল করতে বাধ্য হলেন উদ্যোক্তারা

.