নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার ব্যারাকপুরে তৃণমূল - বিজেপি সংঘর্ষের ঘটনায় কাঠগড়ায় পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা। সেখানে বন্দুক উঁচিয়ে গুলি চালাতে দেখা যায় তাঁকে। অপদার্থতার অভিযোগ উঠেছে ডিসি ডিডি অজয় ঠাকুরের বিরুদ্ধেও। স্থানীয়রা বলছেন, পুলিসের সদিচ্ছার অভাবেই স্বাভাবিক হচ্ছে না ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। তবে অধস্তনদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ মানতে রাজি নন এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং। তাঁর দাবি, পুলিস ধৈর্য ধরে কাজ করেছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিহার শ্যামনগরের ফিডার রোডে বিজেপির একটি পার্টি অফিস দখল করতে যায় তৃণমূল। দুপক্ষের সংঘর্ষ থামাতে এলাকায় যায় পুলিস। নেতৃত্বে ছিলেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিস কমিশনার মনোজ ভার্মা। পুলিস পৌঁছতেই তাদের লক্ষ্য করে ইট ছুঁজতে শুরু করে উত্তেজিত জনতা। উত্তেজিত জনতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হিমসিম খায় পুলিস। এক সময় পুলিস কমিশনারকে ঘিরে ধরে উত্তেজিত জনতা। জনতার রূদ্ররুপ দেখে পুলিস কমিশনারকে একা রেখেই পালাতে থাকেন হাজির অন্য পুলিস কর্মীরা। কোনও ক্রমে উঠে পালাতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েও যান মনোজ ভার্মা। উঠে দাঁড়িয়ে এক সহকর্মীর কাছ থেকে বন্দুক নিয়ে শূন্যে গুলি চালাতে দেখা যায় তাঁকে। 


 



সেদিন উত্তেজনার মধ্যেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত Zee ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টার অনন্ত চট্টোপাধ্যায়কে চড় কষান ডিসি ডিডি ১ অজয় ঠাকুর। তাঁকে ঘাড় ধাক্কা দিতে দেখা যায়। স্থানীয়রা বলছেন, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে দুষ্কৃতীদের নিয়ন্ত্রণ করে এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলেও সাংবাদিকদের ওপরে হাত উঠে যায় অজয় ঠাকুরের। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে শান্তি না ফেরার পিছনে তাঁর অপদার্থতা ও ঔদ্ধত্বকে দায়ী করছেন অনেকে। অনন্ত চট্টোপাধ্যায়কে নিগ্রহের প্রতিবাদে সোমবার ব্যারাকপুরের চিড়িয়ামোড়ে বিক্ষোভ দেখান সাংবাদিকরা। 


রাজ্যের পরিস্থিতিতে আমি উদ্বিগ্ন, অর্জুন সিংয়ের সঙ্গে দেখা করে বললেন রাজ্যপাল


লাগাতার অশান্তি সত্বেও সোমবার ব্যারাকপুরের পুলিস কমিশনারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা জ্ঞানবন্ত সিং। তিনি বলেন, 'ধৈর্য ধরে কাজ করছেন মনোজ ভার্মা। রবিবার পুলিস ধৈর্য হারালে আরও বড় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত। গত কয়েকদিনে মনোজ ভার্মা জগদ্দল ও ভাটপাড়া থেকে ৩০০ বোমা ও ৫০টি আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছেন। কে বা কারা অশান্তি ছড়িয়েছে তা স্পষ্ট। রবিবার জনতাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অর্জুন সিং। তার বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা দায়ের হয়েছে। কেউ ছাড় পাবে না।'


এদিন সাংবাদিক নিগ্রহের কথা স্বীকার করলেও সাংবাদিক সম্মেলনে এই নিয়ে কথা বাড়াতে চাননি তিনি।