নিজস্ব প্রতিবেদন : শীতের রাতের ঠান্ডাকে উপেক্ষা করেই এলাকায় করোনা রোগীদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছে পুলিস। সারাদিনের প্রশাসনিক কাজকর্ম সামলে করোনা রোগীদের বাড়ির দোরগোড়ায় খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। পুলিসের এমনই মানবিক রূপের ছবি ধরা পড়ল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন যে করোনা রোগীদের বাড়িতে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেবে রাজ্য সরকার। সেই নির্দেশকে কার্যকর করতেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আধিকারিকদের মধ্যে দেখা গেল তৎপরতা। স্বয়ং হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে খাবারের প্যাকেট হাতে ছুটে যাচ্ছেন করোনা রোগীদের বাড়িতে। পৌঁছে দিচ্ছেন সারাদিনের খাবার।


পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় হাসপাতাল থেকে এলাকার করোনা রোগীদের তালিকা সংগ্রহ করছে পুলিস। তারপরই থানার আধিকারিকরা বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে খাবার নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন তাঁদের বাড়িতে। খোঁজ নিচ্ছেন শরীর স্বাস্থ্যের। যতদিন না তাঁরা সুস্থ হয়ে উঠছেন, ততদিন বাড়ির দোরগোড়ায় এভাবেই খাবার পৌঁছে দেবেন বলে আশ্বাস দিচ্ছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিসকর্মীরা। বাড়িতে আটকে থাকা অবস্থায় পুলিসের কাছ থেকে এরকম পরিষেবা পেয়ে আপ্লুত এলাকার করোনা রোগীরা। তাঁরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিসকর্মীদের।


এ প্রসঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান, "রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমরা এলাকার করোনা রোগীদের সম্পর্কে স্থানীয় ব্লক এবং হাসপাতাল থেকে তথ্য সংগ্রহ করছি। সেই তথ্য নিয়ে তারপর করোনা আক্রান্তদের বাড়িতে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কেউ করোনা আক্রান্ত হলে সমাজ যাতে ঘৃণার চোখে না দেখে, এমনটা যেন না হয়, এলাকায় আশপাশের বাড়িতে গিয়ে সেই বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। গত তিনদিন ধরে এই কর্মসূচি চলছে আমাদের। যতদিন না ওনারা সুস্থ হয়ে উঠছেন, ততদিন আমাদের এই পরিষেবা চলবে।"


বাড়িতে খাবারের পরিষেবা পেয়ে আপ্লুত এলাকার করোনা রোগীরা। হরিশ্চন্দ্রপুরের রামরায় এলাকার এক রোগী জানান, "আজ রাতে হঠাৎ থানার বড়বাবু এসেছিলেন খাবার হাতে। খাবার দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার শরীরের খোঁজ খবর নিলেন। আমি এখন আগের থেকে অনেকটা সুস্থ। তবে ভালো লাগছে এলাকার পুলিস প্রশাসন করোনা রোগীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে দেখে।"


পুলিসের এই মানবিক রূপ দেখে আপ্লুত হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকাবাসী। এর আগেও মহামারী ছাড়া অন্যান্য সময়ে হরিশ্চন্দ্রপুরবাসী পুলিসের মানবিক রূপ প্রত্যক্ষ করেছে। এখন আবার করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে জেরবার সারা রাজ্য। আর এরই মধ্যে রাজ্য সরকার এবং পুলিসের এই যৌথ উদ্যোগ সাড়া ফেলেছে এলাকায়।


আরও পড়ুন, ভক্তদের জন্য দুঃসংবাদ, ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত! অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ কামারপুকুর মঠ ও মিশন


Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App