নিজস্ব প্রতিবেদন: ঠিক এক বছর লাগল উত্তম মোহান্ত খুনের মামলার রিপোর্ট পুলিসের হাতে পেতে। সেই রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী রয়েছে সেই রিপোর্টে?


আরও পড়ুন- ভাত বাড়তে গিয়ে 'শব্দ' শুনে রান্নাঘরের ছাদে তাকাতেই হাড়হিম গৃহবধূর...


জানা গিয়েছে, জীবনবীমা অফিসার উত্তম মোহান্তের মাথায় আঘাত করে খুন করা হয়েছে। ভিশেরা ও হিস্টোপ্যাথোলজিক্যাল রিপোর্টে উত্তমবাবুর মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। গত বছর জুনে এলআইসি-র ডেভেলপমেন্ট অফিসার  উত্তম মোহান্তের মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয় রহস্য। তদন্তে নেমে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় জলপাইগুড়ির কোতোয়ালি থানার পুলিসকে।


কীভাবে খুন হন উত্তমবাবু?


গত ২৯ জুন রক্তাক্ত দেহ মেলে কোচবিহারের ভেটাগুড়ির বাসিন্দা উত্তম মোহান্তের। কর্মসূত্রে জলপাইগুড়ির কদমতলা এলাকার ভাড়া বাড়িতে থাকতেন স্ত্রী-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে। তদন্ত করতে গিয়ে পুলিস জানতে পেরেছে, ত্রিকোণ প্রেমের গ্যাঁড়াকলে পড়েই খুন হয়েছেন উত্তমবাবু।


ত্রিকোণ প্রেম?


খুনে জড়িত হিসাবে নাম উঠে আসে স্ত্রী লিপিকা, মেয়ে শ্বেতা, লিপিকার বয়ফ্রেন্ড অনির্বাণ রায় এবং আয়ুর্বেদিক চিকিত্সক চতুর্বেদির। পুলিস জানিয়েছে, ২০১৫ সালে প্যান কার্ড তৈরির মাধ্যমে লিপিকার সঙ্গে পরিচয় হয় অনির্বাণের। পরবর্তীকালে তাঁদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। স্ত্রীর এই সম্পর্ক জানতে পারলেও উত্তমবাবুর চোখের সামনেই অনির্বাণ-লিপিকার মেলামেশা চলত। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, উত্তমবাবুকে দড়ি দিয়ে বেঁধে প্রায়শই মারধর করতেন স্ত্রী লিপিকা এবং তাঁর বয়ফ্রেন্ড অনির্বাণ।


আরও পড়ুন- স্বামীর হাঁসুয়ার কোপে দু-টুকরো স্ত্রী!


কোতোয়ালি থানার পুলিশের রিপোর্ট বলছে, উত্তমবাবুকে প্রথমে বিষ খাওয়ানো হয় এবং পরে মৃত্যু সুনিশ্চিত করতে মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করেন অনির্বাণ। সেই বস্তু উদ্ধার করেছে পুলিস। কোতোয়ালি থানার আই সি বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, “আমরা ফরেনসিক রিপোর্ট আদালতে দাখিল করেছি।”


দাদা, স্বপন মোহান্ত ২৪ ঘণ্টা ডট কম-কে টেলিফোনে বলেন, “আমরা আগে থেকেই বলে এসেছি ভাইকে খুন করা হয়েছে। এবার  মামলা শেষে রায়ের অপেক্ষায় রইলাম।” উল্লেখ্য, অভিযুক্তরা সবাই এই মুহূর্তে জামিনে রয়েছেন।