নিজস্ব প্রতিবেদন : মাসের শেষ সাপ্তাহিক লকডাউন। সোমবার সকাল থেকেই চোখে পড়ল পুলিসি তৎপরতার ছবি। উল্টোডাঙা মোড়ে নাকা চেকিং চলছে পুলিসের। রয়েছে কড়া নজরদারি। অযথা কাউকে বাইরে বেরতে দেখলেই কেস ঠুকে দিচ্ছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিউটাউনের ইউনিটেক মোড়েও ছবিটা একই। সকাল থেকেই তৎপর নিউটাউন ট্রাফিক ও টেকনো সিটি থানার পুলিস।  নিউটাউন সাপুরজি মোড় থেকে সর্বত্র চলছে পুলিসের কড়া নজরদারি। চলছে নাকা চেকিং। প্রয়োজনীয় নথিপত্র চেক করে তবেই গাড়ি ছাড়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় নথি দেখাতে না পারার কারণে ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করেছে টেকনো সিটি থানার পুলিস। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বাইকও।


তবে রাজ্যের সর্বত্র অবশ্য ছবিটা এরকম নয়। মাসের শেষ লকডাউনেও দোকান খোলা রয়েছে বর্ধমানের তেঁতুলতলা বাজার, রাণিগঞ্জ বাজারে। সবজি ও মাছের বাজার দিব্যি খোলা রয়েছে। তবে রাস্তাঘাট সুনসান। যানবাহন তেমন রাস্তায় বের হয়নি। বর্ধমান শহরের অন্যন্য সবজি বাজার বন্ধ থাকলেও থানার কাছেই খোলা মাছ ও সবজির পাইকারি এবং খুচরো বাজার।


আসানসোল শহরের আবার দেখা গেল একদিকে পুলিসের তৎপরতা অন্যদিকে অটো আর টোটোর চলাফেরা। কিন্তু বন্ধ রয়েছে সিটি বাস স্ট্যান্ডের সমস্ত বাস পরিষেবা। অটো টোটোতে যে সকল যাত্রীরা আসছেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস। বেশিরভাগ মানুষেরই অবশ্য দাবি, তাঁরা স্বাস্থ্যকর্মী। হাসপাতালে যাচ্ছেন অথবা ডিউটি থেকে বাড়ি ফিরছেন।


অন্যদিকে, লকডাউনের ফলে সকাল থেকে স্তব্ধ বাঁকুড়া শহর। বাঁকুড়া শহরে সকাল থেকেই রাস্তাঘাট প্রায় সুনসান। বন্ধ রয়েছে বাঁকুড়া শহরের বড়বাজার, চকবাজার, মাচানতলা বাজার সহ সবকটি বাজার। রাস্তায় বেরোনো মানুষের সংখ্যাও হাতে গোনা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে মোতায়েন রয়েছে পুলিস। 


লকডাউনে জোর পুলিসি নজরদারি রয়েছে দ্বিতীয় হুগলি সেতুতেও। এছাড়া আরও বিভিন্ন জায়গায় পুলিসের জোর নজরদারির ছবি ধরা পড়েছে। রাস্তাঘাট সুনসান। বন্ধ সমস্ত বাজার দোকানপাট।


আরও পড়ুন, একদিনে করোনায় মৃত্যু ৫০ জনের, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১,৫৯,৭৮৫