নিজস্ব প্রতিবেদন: টালিগঞ্জ থানায় পুলিসকে মারধরের ঘটনার পর এবার মালদায় পুলিস ফাঁড়িতে হামলা চালাল গ্রামবাসীরা। ভাঙচুর করা হল পুলিসের গাড়ি। লাঠিচার্জ করেও পরিস্থিতি আয়ত্বে না আসায় গুলি চালাতে বাধ্য হয় পুলিস। সোমবার রাতে মালদহের রতুয়া থানার মহানন্দাটোলার পুলিস ফাঁড়ির ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-দুর্গাপুজো কমিটিগুলিকে আয়কর নোটিস! মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতার পরেই নড়েচড়ে বসলেন আয়কর কর্তারা


কী থেকে এতবড় ঘটনা? রবিবার রতুয়ার বিলাইমারি গ্রামে একটি ট্র্যাক্টরের ধাক্কায় মৃত্যু হয় পরিমল মন্ডল নামে এক ব্যক্তির। পরিবারের অভিযোগ, মহানন্দাটোলা পুলিস ফাঁড়িতে এনিয়ে অভিযোগ জানাতে গেলে সেই অভিযোগ নিতে চায়নি পুলিস। শুধু তাই নয়, ট্র্যাক্টর চালককে গ্রেফতার বা আটকও করা হয়নি। তাকে আড়া করার চেষ্টা করছে পুলিস। এনিয়েই তুলকালাম শুরু হয় এলাকায়। তবে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়।



এদিকে, ময়নাতদন্তের পর দেহ আনা হলে সোমবার থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, স্থানীয় নেতাদের চাপে অভিযোগ নেওয়া হলেও ট্র্যাক্টর চালকের সঙ্গে রফা করে নেওয়ার পরামর্শ দেয় পুলিস। এর পরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ফাঁড়ি ঘেরাও করেন গ্রামবাসীরা। ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালায় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। ভাঙচুর চালানো হয় পুলিসের গাড়িতেও। আগুন ধরানোর চেষ্টাও হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ছুটে আসে রতুয়া থানার পুলিস।


পরিস্থিতি আয়ত্বের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে প্রথমে লাঠিচার্জ করে পুলিস। পরে গুলিও চালানো হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, কমপক্ষে ৬ রাউন্ড গুলি চালিয়েছে পুলিস। পায়ে গুলি লাগে মহাদেব মন্ডল নামে এক ব্যক্তি।


আরও পড়ুন-পুজোর পরেই কলকাতায় আসতে পারেন লিওনার্দো দি ক্যাপ্রিয়ো, দাবি নবান্নের


এদিকে সংঘর্ষের মধ্যেই ফাঁসির সামনে পড়ে থাকে পরিমল মন্ডলের মৃতদেহ। পরে মানিকচক থানা থেকে বিশাল পুলিস বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্বে আনে। এলাকায় যান অতিরিক্ত পুলিস সুপার দীপক সরকার। তীব্র উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।