ওয়েব ডেস্ক : পাতলেবাসের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সদর দফতরে পুলিসি হানা। উদ্ধার হল প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র। যার মধ্যে রয়েছে প্রায় হাজারের উপর তির, অত্যাধুনিক ধনুক, বেসবলের ব্যাট ও আরও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমাণে বাজিও। যেগুলি বিস্ফোরক তৈরিতে ব্যবহার করা হত বলে অনুমান।




COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আজ সকালে স্পেশাল পুলিসবাহিনী ও CRPF  ঘিরে ফেলে মোর্চার অফিস। অফিস খুলে দেওয়ার জন্য উপস্থিত মোর্চা সদস্যদের প্রথমে অনুরোধ করে পুলিস। কিন্তু, দরজা না খুলে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় মোর্চা সদস্যরা। এরপরই দরজা ভেঙে মোর্চার সদর দফতরে ঢুকে পড়ে পুলিস। অভিযানের নেতৃত্ব দেন পুলিস সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী।



একটা রাজনৈতিক দলের অফিসে এত অস্ত্রশস্ত্র কেন? উঠতে শুরু করেছে সেই প্রশ্ন। স্থানীয়দের অনেকেই মনে করছেন, রাজ্য সরকারের কড়া মনোভাবের ফলে পাহাড়ের পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠবে। কিন্তু, সরকার যে কোনওভাবেই মোর্চাকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়, আজকের পদক্ষেপে তা আরও একবার স্পষ্ট হল। মোর্চার সদর দফতরে হানার পাশাপাশি, আজই কার্শিয়ং থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে নারী মোর্চার নেত্রী করুণা গুরুংকে। নারী মোর্চার উপদেষ্টা পদে ছিলেন করুণা গুরুং।


এদিকে, পুলিসি অভিযানের প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই পাহাড়ে অনির্দিষ্টকালীন বনধের ডাক দিয়েছে মোর্চা। যদিও, গা ঢাকা দিয়েছে মোর্চা শীর্ষ নেতৃত্ব। সরকারের 'রাফ অ্যান্ড টাফ' নীতির সামনে মোর্চার প্রতিবাদ কতটা দাঁড়াতে পারে, এখন সেটাই দেখার। 


আরও পড়ুন, আজ পাহাড়জুড়ে মোর্চার মিছিল, পুলিস বাড়াবাড়ি করলে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের হুমকি