নিজস্ব প্রতিবেদন: তখন বিয়ের পিঁড়িতে বসে পড়েছেন পাত্রী। বরযাত্রী, অতিথিরাও আসতে শুরু করেছেন, নাবালিকার বিয়েতে চলছে জোরকদম ভুড়িভোজ। ক্যানিং-এর জীবনতলা থানার নেতড়া এলাকা ঘটনা। নাবালিকার বিয়ে দিচ্ছিলেন ওই এলাকার এক পরিবার। হঠাৎই সেই বিয়েবাড়িতে হাজির হন পুলিস, ব্লক প্রশাসনের কর্তা এবং চাইল্ড লাইনের সদস্যরা। পাত্রীর বয়সের প্রমাণ পত্র দেখতে চান চান। সেখানেই জানা যায় পাত্রী হাবিবা খাতুনের বয়স ১৭ পেরোয়নি তখনও। প্রশাসনের চাপে শেষ পর্যন্ত বিয়ে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় পরিবার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বিয়ের মন্ডপে মাতলামি বরের, জামা-প্যান্ট খুলিয়ে মোক্ষম দাওয়াই কন্যাপক্ষের


পুলিস সূত্রে খবর, হাবিবা খাতুন বোদরা গার্লস হাইস্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। নেতড়া এলাকা বাসিন্দা ইমান মোল্লা তাঁর নাবালিকা কন্যার বিয়ে ঠিক করেন জীবনতলা কুড়িয়াভাঙ্গা গ্রামের মিজানুর লস্করের সঙ্গে। এদিন তারই প্রতিবেশী কয়েকজন ক্যানিংয়ের চাইল্ড লাইনের নম্বরে ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে দেয়। সেই মতোই বিয়ের মন্ডপে উপস্থিত হয় পুলিস। 


পাত্রীর বাবাকে গোটা বিষয়টা বুঝিয়ে বলে পুলিস, স্বাবালিকা না হয়েই বিয়ে হলে কী কী সমস্যা হতে পারে তাও বিস্তারিত বুঝিয়ে বলেন তাঁরা। কন্যাশ্রীর ২৫ হাজার টাকার বিষয়েও অবগত করেন।  এরপর পাত্রীর বাবা প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দিয়ে বলেন মেয়েকে আপাতত তিনি মেয়েকে পড়াশোনা করাবেন। পাশাপাশি ইমন মোল্লা  বলেন," আমি জানতাম না ১৮ বছর বয়সের আগে কোন মেয়ের বিয়ে দিতে নেই।"