নিজস্ব প্রতিবেদন: দুদিন আগে পাড়ার ক্রিকেট ম্যাচে আলাপ। সেদিনই বন্ধুত্ব আর মনে ধরে যাওয়া। দুদিনের পরিচয় থেকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওরা। ঠিক করে ফেলেছিল, সারাজীবন একসঙ্গে পথ চলার। পরিবারকেও জানায় সে কথা। পরিবারও রাজি। কিন্তু বিয়ের সমস্ত আয়োজন হওয়ার পরও চার হাত এক হল না তাদের। বাধ সাধল পুলিস। তবুও এই প্রেম কাহিনীর ইতি মধুর হয়েছে। জলপাইগুড়ি দাস পাড়ার এই কিশোর-কিশোরীদের ভালোবাসার গল্প একটু অন্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: দরজা ভেজানো, ভিতরে মায়ের নিথর দেহ দেখলেন ছেলে


পাত্রের নাম পলাশ দেবনাথ (নাম পরিবর্তিত)। কিছুদিন আগে দাসপাড়ায় ক্রিকেট খেলতে গিয়েছিল ২৫ বছরের কৃষ্ণ। সেখানে চোখে পড়ে মালিনীকে (নাম পরিবর্তিত)। এক দেখাতেই মালিনীর প্রেম পড়ে যায় পলাশ। কিন্তু তখনও সে জানে না, মালিনীরও পছন্দ তাকে। ওই রাতেই পলাসের ফোনে আসে মিস কল। রিং ব্যাক করতেই জমাট বাঁধে আরও এক প্রেমের গল্প। কথা হয় দুজনের। বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। পরিবারকে জানানোর পর কথা হয় দুই পরিবারেও। ঠিক হয় বিয়ের তারিখ।


আরও পড়ুন: বারান্দায় ঝুলছেন স্বামী, ঘরের ভিতর স্ত্রীর দেহ, দেওয়ালে রক্তে লেখা মনের কথা


বুধবার দাসপাড়ায় মালিনীর বাড়িতে তখন সানাইয়ের সুর। আর কিছুক্ষণের অপেক্ষা। বর এল, কিন্তু হল না বিয়ে। পুলিস এসে রুখে দিল বিয়ে। কারণ একটাই, মালিনী নাবালিকা। জলপাইগুড়ি মহিলা থানার পুলিশ পাত্রীকে বোঝান। কাউন্সেলিং করা হয় পাত্রকেও।


আরও পড়ুন: আলমারি খুলতেই জামা কাপড়ের ভিতর থেকে মাথা উঁচু করল সে...


জলপাইগুড়ি মহিলা থানার ও সি উপাসনা গুড়ুং জানান, নাবালিকার বিয়ের কথা  জানতে পারেন স্থানীয় কাউন্সিলর। তিনি দুপক্ষকে নিষেধ করার পরও তারা বিয়ের আয়োজন করেছিল।


এই প্রেমের গল্পের শেষ বোধ হয় এখানেই নয়। নাবালিকা বিয়ে আইনত অপরাধ। আর সেই অপরাধ হওয়ার হাত থেকেই রক্ষা পেল মালিনী ও পলাসের পরিবার। কিন্তু ভালোবাসা থাকলে এ বিয়ে হবেই, অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েকটা বছর।