অয়ন ঘোষাল: সন্দেশখালিতে আক্রান্ত ও পুলিসে আটক লোকজনের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে রবিবার সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করেন বাম নেতারা।  কিন্তু ১৪৪ ধারার অজুহাতে সেখানে যেতে তাদের আটকে দিল পুলিস। এনিয়ে পুলিসের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, কলতান দাসগুপ্তরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বাঁশদ্রোণী এলাকা থেকে আটক সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক


রবিবার সাকাল ১০টায় মালঞ্চ বাজার থেকে সোজা সরবেড়িয়া হয়ে সন্দেশখালির দিকে না গিয়ে ছোট ছোট দল ভাগ হয়ে বসিরহাট যাওয়ার রাস্তা ধরেন বাম যুব নেতৃত্ব ও কর্মীরা। এর মধ্যে কলতান দাসগুপ্ত ও মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় চৈতল বড় মসজিদ থেকে বয়রামারি বাজার হয়ে ন্যাজাট ফেরিঘাটে পৌঁছন। একে একে সেখানে জড়ো হন জন পঞ্চাশ ডিওয়াইএফআই কর্মী।


এদিকে আগে থেকেই সেখান হাজির ছিল বিশাল পুলিস বাহিনী।  পৌনে এগারোটায় সেই বেষ্টনী ও গার্ড রেল ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়ে ফেরঘাটে ঢুকে পড়েন বাম কর্মী ও নেতারা। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন ফেরি সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। এরপরই পুলিসের সঙ্গে ডিওয়াইএফআই কর্মীদের সঙ্গে পুলিসের শুরু হয়ে যায় প্রবল বচসা। প্রায ঘণ্টা ২ ওই তর্কাতর্কি চলার পর পুলিস জানায় নদীর ওপারে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই সর্বাধিক ৪ জনকে যেতে দেওয়া হবে। তাদের নামও সংগ্রহ করা হয়। বলা হয় কাউন্টার খুলে দেওয়া হচ্ছে। টিকিট কাটুন। লঞ্চ এলে ওপারে যেতে পারেন।


টিকিট নেওয়ার পর দেখা যায় সেটি ২০২৩ সালের অক্টোবরের ডেইলি টিকিট। ওই টিকিট বৈধ নয় এই যুক্তিতে পুলিস তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে এই আশঙ্কায় বেঁকে বসেন বাম নেতারা। ফের তর্কাতর্কি। এভাবে কেটে যায় আরও ১ ঘণ্টা। শেষপর্যন্ত এপারেই মিছিল শুরু করেন মীনাক্ষীরা। সেই মিছিলও আখড়া ঘাটে আটকে দেয় পুলিস। সেখানেই সভা করেন বাম নেতারা।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp)