অরূপ বসাক: পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি হয়েছে রাজ্যের বহু জায়গায়। তৃণমূলের দাবি, ৬১ হাজার বুথের মধ্যে ৬-৭টি বুথ বড়সড় গোলমাল হয়েছে। বাকী জায়গায় অল্পসল্প অশান্তি হয়েছে। এর মধ্যেই উত্তরবঙ্গর মালবাজারের দেখা গেল অন্য ছবি। সেখানে রাত নটা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে মানুষজন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজ্যে কত শতাংশ ভোট পড়ল? সাত জেলায় ১৫ জনের মৃত্যু 


মালবাজার ব্লকের তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ২০/ ১৪৩ পার্ট এখনও চলছে ভোট গ্রহণ। সকালের দিকে সাময়িক উত্তেজনা হলেও পরবর্তী সময়ে শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটাররা ভোট দান করছেন এই কেন্দ্রে। এখনও পর্যন্ত লাইনে প্রায় শতিনেক মহিলা ও পুরুষ ভোটার দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভোটদানের অপেক্ষায়। ভোট কর্মীদের তরফে লাইনে দাঁড়ানো সবাইকে টোকেন বিলি করা হয়। দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে এই বুথে।


এই বুথে লড়াইয়ে একদিকে রয়েছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি তথা তেশিমলা অঞ্চলের পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ ওয়ারেশুল আম্বিয়া এবং অপরদিকে রয়েছেন কংগ্রেস প্রার্থী ফারুক হুসেন। নির্বাচনে প্রথমবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি ওয়ারেশুল আম্বিয়াকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছেন ফারুক। তবে নির্বাচনী যুদ্ধে ফলাফল যাই হোক না কেন দুজনের সম্পর্কে যে কোন চিড় ধরবে না তা দুজনের কথাতেই পরিষ্কার। কংগ্রেস প্রার্থী ফারুক হোসেন বলেন, ভোট প্রদানে কিছু সমস্যা হলেও ভোটাররা ভোট দিতে পেরেছেন। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় ভোটের শেষ লগ্নে শাসক দলের তরফে ছাপ্পা ভোটের আশঙ্কা থেকেই গিয়েছে। অপরদিকে ওয়ারেসুল আম্বিয়া বলেন, নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগে সুষ্ঠু এবং অবাধ ভোট হয়েছে। ভোটাররা  নিজেদের ভোট নিজেরাই প্রদান করেছেন।


এদিকে, সন্ধ্যার পরও ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে প্রায় ৫০০ ভোটার। ভোটগ্রহণ কখন শেষ হবে তা অজানা ভোটারদের কাছে। তবে রাত হলেও ভোট দিয়েই বাড়ি ফিরবে তারা এমনই জানালেন মহিলা থেকে বৃদ্ধ ও পুরুষ ভোটাররা। কেউ দুপুর ৪ টা থেকে আবার কেউ তারও আগে থেকে ঠাঁই দাঁড়িয়ে রয়েছেন ভোট কেন্দ্রে। অভিযোগ,বুথে ভোটারের সংখ্যা তুলনায় ভোটগ্রহন কেন্দ্রে পরিকাঠামো পর্যাপ্ত নেই। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন এমনিতেই ব্যালট ভোটে সময় লাগে তারউপর ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে ভোটারদের জন্য একটি মাত্র ভোটদান কক্ষ রাখা হয়েছে। আর এর জেরেই ধীরগতিতে চলছে ভোট গ্রহণ। আর সেই প্রক্রিয়া দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা এবং এখনও চলছে ভোট গ্রহন। ভোটারদের অভিযোগ,দুপুর থেকে ভোট গ্রহন কক্ষ বাড়ানোর আবেদন করা হলেও কেউ কর্ণপাত করেনি। আর সন্ধ্যা নামতেই অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে ভোট গ্রহন কেন্দ্র। যদিও পরে পুলিস ও কমিশনের আধিকারিকরা পৌঁছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন। তবে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে আলোর ব্যবস্থা করে গ্রামবাসীরাই।  ভোট গ্রহনের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও এমনই ছবি ধরা পড়লো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকের নীলগঞ্জ কলোনি ১২২ নম্বর বুথে। এই বুথে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৩৬৫।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)