Jalpaiguri: পিঠে করবেন গৃহিণী, সরা তৈরির ব্যস্ততা তুঙ্গে কুমোরপাড়ায়...
Jalpaiguri: তিনদিনের পৌষ সংক্রান্তির উৎসব আয়োজনের শুরুটা হয় কুমোরপাড়া থেকেই। পিঠে বানানোর জন্য প্রয়োজন মাটির সরা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তিনদিনের পৌষ সংক্রান্তির উৎসব আয়োজনের শুরুটা হয় কুমোরপাড়া থেকেই। পিঠে বানানোর জন্য প্রয়োজন মাটির সরা। সেই সরা তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ির রাউত বাগান-সহ বিভিন্ন পালপাড়ায় এখন ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: Makar Sankranti 2024: জেনে নিন, কবে মকর সংক্রান্তি, কখন শুভ মুহূর্ত...
দিনকয়েক আগে থেকেই পালপাড়ার প্রতিটি বাড়িতে নাওয়া-খাওয়া ভুলে তৈরি করা চলছে পিঠে তৈরির সরা-সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। মৃৎশিল্পী মিনু পাল বলেন, এখন আর বাড়িতে কেউ পিঠে বানাতে চান না। রেডিমেড পিঠের জন্য শহরে এখন আর আগের মতো সরা বিক্রিও হয় না। তবে যাঁরা পৌষ সংক্রান্তিতে ঠাকুরকে পিঠেপুলি উৎসর্গ করেন তাঁরা এখনও মাটির সরা কেনেন।
তাই তাঁদের দিকে তাকিয়েই সংসারের অন্যান্য কাজের ফাঁকে সরা বানানোর এই কাজ করে কিছুটা অতিরিক্ত উপার্জন করেন পালপাড়ার কুমোরেরা। এ সময়টা সরা তৈরি করতে দেখা যায় পালপাড়ার অধিকাংশ মৃৎশিল্পীদের।
আরও পড়ুন: Ram Mandir in Bengal: প্রায় ২৬০ বছরের পুরনো রামমন্দির রয়েছে এই বাংলাতেই! জেনে নিন ইতিহাস...
মাটির সরা তৈরি করে আগুনে আঁচ দেওয়ার পরে বাজারে মহাজনদের কাছে পাঠানো হয়। জলপাইগুড়ির রাউতবাগান ছাড়াও এই কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মোহিতনগর ও ময়নাগুড়ি ব্লকের শিঙ্গিমারি, ময়নাগুড়ি রোড-সহ বিভিন্ন এলাকার পালপাড়ার বহু মৃৎশিল্পী। সারা বছর ধরেই তাঁরা বিভিন্ন রকমের মাটির সরঞ্জাম তৈরি করেন। তবে পৌষ সংক্রান্তির সময়ে তাঁদের শুধুমাত্র মাটির সরা-সহ পিঠেপুলি তৈরির অন্যান্য সরঞ্জাম তৈরি করতেই দেখা যায় তাঁদের। এখনও এই ভাবে টিকে আছে